শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:৫১, ২ ডিসেম্বর ২০২২

আধুনিক দাসত্বের শৃঙ্খলে ৫ কোটি মানুষ: পরিসংখ্যান 

আধুনিক দাসত্বের শৃঙ্খলে ৫ কোটি মানুষ: পরিসংখ্যান 

সর্বশেষ বিভিন্ন অনুমিত তথ্যানুসারে জানা যায় যে ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী পাঁচ কোটি মানুষ আধুনিক দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিলো। আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস উপলক্ষে আনাদোলু এজেন্সি দ্বারা সংকলিত তথ্য অনুসারে এসব বিষয় জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’ ও অলাভজনক সংস্থা ‘ওয়াক ফ্রি’ জানিয়েছে, আধুনিক দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষগুলোর মধ্যে দু’কোটি ৮০ লাখ ব্যক্তি জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত এবং দু’কোটি ২০ লাখ লোক জোরপূর্বক বিবাহে আটকা পড়েছে।

সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি যৌথ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাগুলোর এ যৌথ প্রতিবেদনটি ‘আধুনিক দাসত্বের বিষয়ে বৈশ্বিক অনুমান’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে আধুনিক দাসত্বে আটকা পড়া মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৬ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এক কোটির বেশি লোক দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়। বিভিন্ন বৈশ্বিক অনুমান উদ্ধৃত করে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। আধুনিক দাসপ্রথা দু’টি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত। তা হলো, জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োগ এবং জোরপূর্বক বিবাহ।

উভয়ই ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিভিন্ন শোষণের মুখোমুখি হয়। এর ফলে মানুষ বিভিন্ন জবরদস্তির কারণে এটা প্রত্যাখ্যান করতে পারে না বা ছেড়ে দিতে পারে না। এ সময় একজন মানুষ হুমকি, সহিংসতা, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলপূর্বক শ্রমের মধ্যে মোট এক কোটি ১৮ লাখ নারী ও বালিকা নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে ৩৩ লাখের বেশি শিশু। যাদের বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে তাদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি নারী। ধারণা করা হয় যে এক কোটি ৪৯ লাখ নারী ও বালিকা জোরপূর্বক বিয়েতে আবদ্ধ।

১৯৪৯ সালের ২ ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘে মানব পাচার, যৌন শোষণ, শিশু শ্রম এবং জোরপূর্বক বিবাহের মতো সমসাময়িক দাসপ্রথা নির্মূল করার লক্ষ্যে একটি বিল গৃহীত হয়েছিল। পরে এটা দাসত্ব বিলোপের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ