বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১১ জানুয়ারি ২০২৩

বাড়ছে ফাটল, দেবে যাচ্ছে ভারতের গোটা একটি শহর

বাড়ছে ফাটল, দেবে যাচ্ছে ভারতের গোটা একটি শহর

দেবে যাচ্ছে উত্তর ভারতের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর যোশিমঠ। শহরজুড়ে আরও ফাটল দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে শহরটির বহু বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবার কয়েকশ বাড়ি ভেঙে ফেলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।

মঙ্গলবারই যোশিমঠের একাধিক বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। জানা গেছে, ৬০০ এর বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তারমধ্যে যে বাড়িগুলোর অবস্থা আশঙ্কাজনক সেগুলো ভেঙে ফেলা হবে। এর মধ্যে রয়েছে দু’টি হোটেলও।

এএনআই এর খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে শহরটির ৪ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পুরো যোশিমঠকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যে অংশগুলো একেবারে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, সেখানেই একাধিক বাড়ি ভেঙে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার থেকেই ধাপে ধাপে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হচ্ছে। মাউন্ট ভিউ ও মালারি ইন নামে দু’টি হোটেলও ভেঙে ফেলা হবে। ধসের ফলে একে অপরের গায়ে হেলে পড়েছে হোটেল দু’টি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'সব মিলিয়ে মোট ৪ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান যোশিমঠের ৩০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো এলাকা ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট পেশ করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি।'

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি থেকে আপাতত রিলিফ ক্যাম্পে রাখা হচ্ছে যোশিমঠের বাসিন্দাদের। সব দিক দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

যোশিমঠের বিপর্যয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের সমস্ত বিষয়ই একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। এই সমস্যার সমাধান করতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। মামলার শুনানির জন্য ১৬ জানুয়ারির তারিখ চূড়ান্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ফুটেরও বেশি উঁচুর যোশিমঠ শহরটি ভূমিকম্পপ্রবণ। দেবে যাওয়ার মধ্যে মাঝারি বা শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে সেখানে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে যোশিমঠ। সেই থেকে সেখানকার বাসিন্দারা একের পর এক বিপদে পড়ছেন। শহরটিতে ফাটলের ঘটনাও বাড়ছে।

গাড়োয়াল হিমালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এক জনপদ জোশীমঠ। ধউলিগঙ্গা এবং অলকানন্দার সঙ্গমস্থল বিষ্ণুপ্রয়াগ এই স্থান থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে। কথিত আছে, আগে জয়ত্রীমঠ নামে পরিচিত ছিল জোশীমঠ। আদি গুরু শ্রী শংকরাচার্য‌ এই অঞ্চলে চারটি মঠের সন্ধান পেয়েছিলেন। সেই থেকে এই জায়গার নাম হয় জয়ত্রীমঠ। বর্তমানে উত্তরাখণ্ডের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটককেন্দ্র এই শহর। সেখানে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়