শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

ভারতের অত্যাধুনিক গোয়েন্দা ডুবোজাহাজের যাত্রা শুরু

ভারতের অত্যাধুনিক গোয়েন্দা ডুবোজাহাজের যাত্রা শুরু

ভারতীয় নৌবাহিনীতে জুড়ল এক নতুন ডুবোজাহাজ। নাম আইএনএস বাগির। জলসীমায় নজরদারি চালানোর পাশাপাশি ভারত মহাসাগরে গোয়েন্দাগিরিও করবে এটি। সোমবার মুম্বাইয়ের নৌবাহিনীর ঘাঁটি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্ভোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারতের নৌবাহিনী প্রধান অ্য়াডমিরাল আর হরি কুমার এবং ফরাসি কনসাল জেনারেল মার্ক সেরে সার্লেট। এ নিয়ে পঞ্চম ডুবোজাহাজ হাতে পেল ভারতীয় বিমানবাহিনী।

আধুনিক প্রযুক্তির জোরে নিজেকে কৌশলে লুকিয়ে রাখার ক্ষমতা আছে বাগিরের। শত্রুপক্ষকে নিজের অবস্থান না বুঝতে দিয়ে অনেক আগেই তাদের অবস্থান বুঝে নিতে পারে সে।

বাগিরের এই বৈশিষ্ট্যের কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। তারা জানিয়েছে, বাগিরের এই গুণই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের দক্ষতা বাড়াবে। শত্রুপক্ষের উপর নজরদারি চালানো, তাদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে রণকৌশল সাজাতেও সুবিধা হবে।

ভারতের এই নতুন ডুবোজাহাজের নামকরণ হয়েছে সামুদ্রিক হাঙরের নামে। যার ইংরেজি নাম স্যান্ড সার্ক। বাগিরের কাজের বিশেষত্ব লুকিয়ে রয়েছে এই নামকরণেই। ভারত মহাসাগরের বাসিন্দা এই হাঙর তার শিকারের অবস্থান বুঝে নেয় অনেক দূর থেকে তাদের দেহের কম্পনের মাত্রা থেকে। একই ক্ষমতা রয়েছে নৌবাহিনীর নতুন ডুবোজাহাজ আইএনএস বাগিরেরও।

বাগিরের শরীরে রয়েছে অসংখ্য সেন্সর। ভারত জানিয়েছে, বিশ্বের সেরা সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে এই সাবমেরিনে। এই সেন্সরের সাহায্যেই শত্রুপক্ষের অবস্থান অনেক দূর থেকে বুঝতে পারবে সে এবং আড়াল করতে পারবে নিজেকে।

ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, বাগির নিঃশব্দে বিচরণ করতে পারে। এছাড়া প্রয়োজনে শত্রুপক্ষকে আঘাতও করতে পারে। বাগিরের অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে টর্পোডো, জলের সামান্য তলা থেকে ভূপৃষ্ঠে আঘাত করার মতো ক্ষেপণাস্ত্রও।

গত বছরই বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত হাতে পায় ভারতীয় নৌবাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিমানবাহী রণতরীর পর খুব কম সময়ে ডুবোজাহাজ হাতে পাওয়ায় নৌবাহিনীর শক্তি অনেকটাই বাড়ল। ভবিষ্যতে একসঙ্গে চীন ও পাকিস্তানকে মোকাবেলায় এই ডুবোজাহাজ বড় ভূমিকা রাখবে।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়