• সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৬ ১৪৩০

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

জাগ্রত জয়পুরহাট

দ্বাদশ পরীক্ষায় ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৬০০ পেলেন কাঠমিস্ত্রি-কন্যা

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৩  

চমকে দিলেন ভারতের তামিলনাড়ুর কাঠমিস্ত্রির মেয়ে। দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৬০০ পেয়ে নজির গড়লেন তিনি। ছ’টি বিষয়ের প্রতিটিতেই শতভাগ নম্বর পেয়েছেন তিনি। সোমবার তামিলনাড়ুর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ছাত্রীর চমকে দেওয়া ফলের কথা ঘোষণা করে। এটি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে ভারতজুড়ে। সকলেই কুর্নিশ জানাচ্ছেন সেরা এই ছাত্রীকে। অভিনন্দন জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।

কৃতি ওই ছাত্রীর নাম এস নন্দিনী। তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুল জেলার বাসিন্দা তিনি। বাবা পেশায় কাঠমিস্ত্রি। গরিব ঘরে শিক্ষার আলো জ্বালা নন্দিনী জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে অডিটর হতে চান। তার কথায়, '৬০০-তে ৬০০ পেয়ে আমি খুশি। এই সাফল্য আমার বাবা-মা এবং শিক্ষকদের উৎসর্গ করতে চাই। আত্মবিশ্বাসী হলে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।'  মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন আশ্বাস দিয়েছেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারের তরফে সাহায্য করা হবে নন্দিনীকে।

নন্দিনীর মতোই চমকে দিয়েছেন চেন্নাই কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুলের ছাত্রী এন গায়িত্রী। ৬০০ এর মধ্যে ৫৯২ পেয়েছেন তিনি। দু’টি বিষয়ে ১০০ এর মধ্যে ১০০ পেয়েছেন। বাকি চারটি বিষয়ে পেয়েছেন ৯৯ করে। গায়িত্রীর মা ফলের দোকানে কাজ করেন। বাবা গ্রন্থাগার কর্মী। ফলাফল জানার পর গায়িত্রী বলেছেন, 'একমাত্র শিক্ষাই আমাদের জীবনে বদল আনতে পারে। অন্যকে বোঝার একমাত্র পথও শিক্ষা।'

পিতৃহারা মনীষা। মা পেশায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তিনি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পেয়েছেন ৪৯৯। ভবিষ্যতে পুলিশ অফিসার হতে চান মনীষা। তার কথায়, শিক্ষা এবং প্রতিভার জোরে ব্যক্তির আর্থসামাজিক বদল আনা সম্ভব। 

উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুতে এ বছর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসেছিলেন ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৮৫ জন। কৃতকার্য হয়েছেন ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫১ জন। ছেলেদের পাশের হার ৯১.৪৫ শতাংশ, মেয়েদের পাশের হার ৯৬.৩৮ শতাংশ।

জাগ্রত জয়পুরহাট
জাগ্রত জয়পুরহাট