জঙ্গলে ৫ হাজার বছরের পুরোনো গুহা, ‘পাহারা’ দিচ্ছে হিংস্র ভালুক
জাগ্রত জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩

গুজরাতের দেবগড় বরিয়ার বনাঞ্চলের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। অতীতেও মধ্যপ্রস্তর যুগের অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের খোঁজ পাওয়া গেছে এই বনাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায়। সেই দেবগড় বরিয়াতেই নতুন করে খোঁজ মিলল পাঁচ হাজার বছরের পুরনো এক সভ্যতার।
দেবগড় বরিয়ার জঙ্গল শ্লথ ভালুকের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এই জঙ্গল এবং আশপাশের এলাকা ঐতিহাসিক সংস্কৃতি এবং সভ্যতার ভাণ্ডার। সম্প্রতি গুজরাত বন বিভাগের একটি দল দেবগড় বরিয়ার গভীরে জঙ্গলে ট্রেকিং করতে গিয়েছিল। সেই দলেরই এক জন জঙ্গলের মধ্যে থাকা একটি গুহার পাথরে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান।
মাটি থেকে গা, হাত, পা ঝেড়ে উঠে পাথরটিকে ভালো করে দেখতেই তাতে কিছু দক্ষ হাতের আঁকিবুঁকি দেখতে পান ওই বনকর্মী। আরও ভালো করে দেখতেই আবিষ্কৃত হয় পাঁচ হাজার বছরের পুরনো সভ্যতার গুহাচিত্র।
বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে ধীরে ধীরে গুহার ভেতরে প্রবেশ করেন বনকর্মীরা। গুহার মেঝেতেও ওই ধরনের বেশ কয়েকটি ছবি তাদের চোখে পড়ে।
কিন্তু ধীরে ধীরে গুহার আরও ভেতরে ঢুকতেই ওই বনকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা দেখেন, ওই অমূল্য প্রত্নতাত্ত্বিক গুহাচিত্রগুলিকে পাহারা দিচ্ছে একটি শ্লথ ভালুক। গুহার ভেতরের একটি প্রকোষ্ঠে ওই ভালুকটি ছিল বলে বনকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন।
ওই গুহা থেকে ফিরে আসার সময় বেশ কয়েকটি ছবি সম্বলিত পাথর সঙ্গে করে নিয়ে ফেরেন বনকর্মীরা। সেই পাথরের টুকরোগুলি পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই অঞ্চলে মধ্যপ্রস্তর যুগে মানুষের বসবাস ছিল। গড়ে উঠেছিল এক সভ্যতা। আর সেই সভ্যতার মানুষেরাই এই গুহাচিত্রগুলি এঁকেছিলেন।
ওখানে এককালে বসবাসকারী মানুষেরা গুহার দেওয়ালে এবং পাথরে যে ছবিগুলি এঁকেছিলেন, তার বেশ কয়েকটি এখনও অক্ষত রয়েছে বলে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, গুহাতে গ্রানাইট পাথরের ওপর ছবিগুলো এমনভাবে আঁকা হয়েছিল, যাতে সেগুলি বৃষ্টি, বাতাস এবং প্রখর রোদেও নষ্ট না হয়।
বনকর্মীরা জানিয়েছেন, জঙ্গলের আরও বেশ কিছু পাহাড়ের গায়ে এ ধরনের ছবি রয়েছে, যেগুলো আংশিক নষ্ট হয়ে গেছে। এই ছবিগুলো মূলত দেবগড় বারিয়া ও সাগতলার মাঝখানের ভ্যাভরিয়া ডুঙ্গার পাহাড়ে রয়েছে।
এই গুহাচিত্রগুলোর বেশ কয়েকটিকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন সহকারী বন সংরক্ষক প্রশান্ত তোমর। তার কথায়, ‘‘কোথাও এই চিত্রগুলি অক্ষত রয়ে গেছে। আবার কোথাও আংশিক ভাবে মুছে গেছে। গুহাটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে মানুষের আনাগোনা কম। তার ওপরে একটি শ্লথ ভালুক এই গুহা পাহারা দেয়। আর সেই কারণেই পাহাড়ের ওপরের ছবি নষ্ট হলেও গুহার ভেতরের ছবি অক্ষত রয়েছে।’’
গুজরাতের এমএস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং গুহাচিত্র বিশেষজ্ঞ, ভিএইচ সোনাওয়ানে বলেন, ‘‘পাহাড়ের পাথরে আঁকা চিত্রগুলো দেখে মনে হচ্ছে, সেগুলো আলাদা-আলাদা সময়ের। একটি ষাঁড় এবং কয়েকটি মানবচিত্র সম্ভবত মধ্যপ্রস্তর যুগের।’’
সোনাওয়ানে ১৯৭১ সালে পঞ্চমহল জেলার তরসাঙে গুজরাতের প্রথম গুহাচিত্র আবিষ্কার করেছিলেন। সেই গুহাচিত্রগুলো ১৩ বা ১৪ শতকের বলে মনে করা হয়।
সোনাওয়ানে জানান, তরসাঙে আবিষ্কৃত গুহাচিত্রগুলোও মধ্যপ্রস্তর যুগের। তিনি এ-ও উল্লেখ করেছেন, দেবগড় বরিয়ার এবং তরসাঙে খুঁজে পাওয়া এই গুহাচিত্রগুলো বিরল।
তরসাঙ ছাড়াও, গুজরাতের ছোট উদেপুর, বানাসকাঁথার আমিরগড়, সবরকাঁথার ইদার, সুরেন্দ্রনগরের থানগড় এবং ভাবনগর জেলার চামারদিতে এই ধরনের গুহাচিত্র খুঁজে পাওয়া গেছে।
সোনাওয়ানের মতে, দেবগড় বরিয়ায় খুঁজে পাওয়া গুহাচিত্রগুলো গ্রানাইট পাথরের ওপর লাল হেমাটাইট শিলা দিয়ে আঁকা হয়েছে। এই ধরনের শিলা পাথুরে মাটিতে পাওয়া যায়।
সোনাওয়ানে বলেন, ‘‘এই গুহাচিত্রগুলোকে সরকারের রক্ষা করা উচিত। এগুলো বড় আবিষ্কার। এই ছবি থেকে এ-ও ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে মধ্যপ্রস্তর যুগে মানুষ এখানে বসবাস করতেন। আরও গবেষণা করলে আরও নতুন নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে।’’
ভাদোদরার বন সংরক্ষণ আধিকারিক অংশুমান শর্মা বেশ কিছু গুহাচিত্রের ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয়রা আমাদের বলেছিলেন যে, বনে এই ধরনের আরও অনেক পাথর রয়েছে। কিন্তু সেগুলো এর আগে কখনও নজরে পড়েনি।’’

- আর্থসামাজিক উন্নয়নে দেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহে নানা কর্মসূচি
- জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা
- জয়পুরহাটে বিশ্ব প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- জয়পুরহাট জেলা ব্র্যান্ডিং: ঢাকায় প্রদর্শনী
- ফের মা হচ্ছেন আনুশকা শর্মা, ছবি না ছাপার অনুরোধ কোহলির
- ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবার হাতে মেয়ে খুন
- কালো টমেটো চাষ করে তাক লাগিয়েছেন জামিল
- পরীক্ষামূলক ভাবে ব্রকোলি চাষে কৃষকের মুখে হাসি
- নিবন্ধনে আসছে কিন্ডারগার্টেন
- রূপপুরে সর্বোচ্চ সতর্কতায় ইউরেনিয়াম সংরক্ষণ
- রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার
- আজ মাঠ প্রশাসনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ
- নিচু ভূমি ভরাট ও পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা যাবে না
- ফ্রিল্যান্সারদের ১০ শতাংশ উৎসে কর প্রযোজ্য নয়: এনবিআর
- ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান চুক্তি স্বাক্ষর
- ওয়াসার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
- ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই
- সংবিধানের আলোকে আমরা এগিয়ে যাব
- এইচএসসি পাসে চাকরি দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
- সন্ধ্যা ৬টায় কী বলবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা
- গৃহশিক্ষক চাষ করলেন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাছ
- তবে কি শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বনিবনা নেই নুসরাতের?
- গুগল শনাক্ত করবে ক্যান্সার কোষ
- কে হচ্ছেন জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব?
- অফিসার ক্যাডেট পদে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে নিয়োগ
- মারামারিতে পণ্ড হলো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ
- দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম বাংলাদেশের নুসাইবা
- ম্যানসিটি ও ইউনাইটেডের হার, জিতেছে আর্সেনাল
- জয়পুরহাট পাঁচবিবিতে গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণে দুদু এমপি
- অভিনেত্রী চমকের ভিডিও ভাইরাল!
- জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী আলোচনা সভায় হুইপ স্বপন
- শেখ হাসিনার সামনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অভূতপূর্ব বিনয়!
- দুপুরেই ধেয়ে আসছে ঝড়, ১৩ জেলায় সতর্কতা
- কেন এত জনপ্রিয় জয়পুরহাটের লাল ভুনা, দিনে বিক্রি ৩ মণ
- পদ্মায় ধরা পড়ল ২৪ কেজির তিন পাঙাশ
- আপনি অসুস্থ, হাজবেন্ড জানে না, আরেক বিভাগের স্যার কীভাবে জানে
- এক জেলায় থেকেও ছিলেন আলাদা, অবশেষে ২৪ বছর পর দেখা পেলেন বাবার
- আধা সেদ্ধ তেলাপিয়া খেয়ে ৪ অঙ্গ খোয়ালেন নারী
- সংসদ সদস্যদের জনকল্যাণে জীবন উৎসর্গ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ঘুষ নিয়ে দুই পুলিশের হাতাহাতি, ভিডিও ভাইরাল
- একাধিক পদে সরকারি চাকরির সুযোগ
- জয়পুরহাটে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ
- আসুন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই মিলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি
- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নারী-পুরুষের চাকরির সুযোগ
- সোহানের মৃত্যু: শাবনূরের শোক ও ক্ষোভ
- ডিপজলকে ২৫ লাখ টাকার ‘রাজকীয়’ খাট উপহার দিতে চান ভক্ত
- স্ত্রীর প্রশংসা করার দিন আজ, জেনে নিন উদযাপনের উপায়
- রাহুল আনন্দের স্টুডিওতে যাবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ
- ক্ষেতলালে রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন হুইপ স্বপন
