• শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৫ ১৪৩০

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

জাগ্রত জয়পুরহাট

মারা গেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক ও ভারতীয় সাংবাদিক গীতা মেহতা

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

মারা গেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক ও ভারতের ওডিশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বড় বোন গীতা মেহতা। বার্ধক্যজনিত কারণে গতকাল শনিবার ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির বাসভবনে ৮০ বছর বয়সে মারা যান তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গীতা মেহতা জনপ্রিয় ওড়িয়া নেতা বিজু পট্টনায়কের কন্যা। তিনি ১৯৪৩ সালের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর পড়ালেখা করেছেন। তিনি ১৯৭০-৭১ সালে মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেন। তাঁর সেই অভিজ্ঞতা তিনি বহুল প্রশংসিত তথ্যচিত্র ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’-এ বর্ণনা করেছেন। গীতা মেহতা ‘কার্মা কোলা’, ‘স্ন্যাক অ্যান্ড ল্যাডারস’, ‘আ রিভার সূত্র’, ‘রাজ’ এবং ‘দ্য ইটারনাল গণেশা’-সহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত বই লিখেছেন।

গীতা মেহতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে মোদি বলেন, ‘প্রখ্যাত লেখিকা শ্রীমতি গীতা মেহতা জির মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি ছিলেন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব। লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তাঁর জ্ঞান ও আবেগের জন্য তিনি পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং পানি সংরক্ষণের বিষয়েও অনুরাগী ছিলেন। এর আগে, ২০১৯ সালে রাজনৈতিক কারণে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে গীতা মেহতা সর্বশেষ খবরের কাগজে শিরোনাম হয়েছিলেন। সেই বছরের লোকসভা নির্বাচনে এই পুরস্কার ভুল বার্তা দিতে পারে বলেও সেসময় উল্লেখ করেন তিনি। সেসময় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রীর জন্য যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সম্মান আমি নিতে পারব না।গীতা মেহতা আরও বলেছিলেন, ‘এর কারণ হচ্ছে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এমন সময়ে এই সম্মান মানুষের মাঝে ভুল বার্তা দিতে পারে, তাতে ভারত সরকার এবং আমি দুজনেই বিব্রত হব, যা আমার পক্ষে আরও বেশি দুঃখজনক।’

জাগ্রত জয়পুরহাট
জাগ্রত জয়পুরহাট