মাছের ফেলনা আঁশ আনছে ডলার
জাগ্রত জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২

ফেলনা বস্তু মাছের আঁশ এনে দিচ্ছে ডলার। শুনতে অবাক লাগলেও অনেকেই এখন এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যশোরের মাছ বাজারগুলোর বটি ওয়ালারা ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন এ আঁশ। তারপর এক-দুই হাত ঘুরে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ আঁশ চলে যাচ্ছে জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোয়।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকার বেশি মাছের আঁশ রফতানি হচ্ছে দেশ থেকে। বিদেশে এ আঁশ দিয়ে তৈরি হয় ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র, কৃত্রিম কর্নিয়া ও কৃত্রিম হাড়, ওষুধ, মাছ ও মুরগির খাবার, নেইলপালিশ, লিপস্টিকসহ নানা প্রসাধনি।
যশোরের মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, যশোরে মাছের আঁশের চাহিদা এখন অনেক বেশি। বড় বাজারে নিয়িমিত মাছ কাটেন আল আমিন (বটি ওয়ালা)। মাছ কাটতে প্রতি কেজিতে তিনি নেন ১০ টাকা করে। এর বাইরে মাছের আঁশ বিক্রি করে বছরে কমপক্ষে বাড়তি আয় করছেন ২০ হাজার টাকা।
মাছ কাটেন এমন আরও একজন বাবুল হোসেন। তিনি জানান, শুধু আঁশ নয়, মাছের নাড়িভুঁড়িও বিক্রি হয়। নাড়িভুঁড়ি ব্যবহার করা হয় মাছের খাদ্য হিসেবে। এগুলো শুকিয়ে বিদেশেও পাঠানো হয়। মাছের ফুলকো শুকনো করে বিদেশে সুপ তৈরি হয়। এছাড়া মাছের ফুলকা, পিত্ত, চর্বি দিয়ে আরো অনেক রকমের জিনিস তৈরি হয়।
শহরের শুধু বড় বাজার নয়, আশপাশের সব বাজারের বটি ওয়ালারাও নাড়িভুঁড়ি ও আঁশ বিক্রি করে থাকেন। কেউ কেউ বাসাবাড়ি থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন।
শহরের বড় মাছ বাজারের একজন আড়তদার মোহাম্মাদ আলী, যিনি প্রতিদিন বিভিন্ন বাজার থেকে কয়েক মণ মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। তিনি জানান, আঁশ শুকিয়ে তিনি চট্টগ্রামের হক সাহেব, সিরাজ হাজী, আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবসায়ির কাছে বিক্রি করেন। এ আঁশ মণ প্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি। তার কাছ থেকে সংগ্রহ করা এই আঁশ চট্টগ্রামের আড়তদাররা বিদেশে রফতানি করেন।
তিনি আরও জানান, দেশে এ ব্যবসা প্রথম শুরু করেন ঢাকার শামসুল আলম নামে এক ব্যবসায়ী। যিনি তার জাপানি বন্ধুর কাছ থেকে পরামর্শ পেয়ে মাছের আঁশের ব্যবসা শুরু করেন।
ব্যবসায়িরা জানান, আঁশ সংগ্রহ করার পর সেই আঁশগুলো পরিষ্কার পানিতে অথবা অল্প গরম পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়। এমনভাবে পরিষ্কার করা হয় যেন মাছের গায়ে লেগে থাকা তৈলাক্ত পদার্থ সম্পূর্ণ ধুয়ে যায়। তারপর সামান্য রোদে শুকানোর পর ঝরঝরে করা হয়। এরপরই বিক্রির উপযোগী হয়। অবশ্য কেউ কেউ মিক্সার গ্রান্ডারে গুঁড়ো করে পাউডার আকারেও মাছের আঁশ বিক্রি করেন।
ব্যবসায়িদের বক্তব্য অনুযায়ী, মাছ হিসেবে দাম ভিন্ন হয়। রুই, কাতলার মত বড় মাছের আঁশের দাম একটু বেশি। চিংড়ি মাছের মাথার খোসার দাম আর একরকম। মাছের ফুলকার দামও আলাদা। প্রতিটা মাছের চর্বিও দাম ভিন্ন।
রফতানি প্রাক্রিয়াজাতকরণ সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মাত্র ১০-১২ জন ব্যক্তি আঁশ রফতানি করেন। তবে এই ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকার বেশি মাছের আঁশ সাত-আটটি দেশে রফতানি হয়। প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার টন আঁশ রফতানি হয় জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোয়। সেখানে মাছের আঁশ থেকে কোলাজেন ও জিলেটিন তৈরি করা হয়। ওষুধ, প্রসাধন সামগ্রী, ফুড সাপ্লিমেন্ট তৈরিতে মাছের আঁশ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কোলাজেন ও জিলেটিন মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হয়, যা ওষুধ ও প্রসাধনসামগ্রীতে কাজে লাগে।
মাছের আঁশ ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার যদি এ বিষয়ে নজর দেন, তাহলে এ ব্যবসার আরও পরিধি বাড়বে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানান, বিদেশে মাছের আঁশের বেশ চাহিদা আছে। একটু চেষ্টা করলেই এই শিল্পকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়। সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

- বাংলাদেশের কৃষিপণ্য নিয়ে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য যাবে জাহাজ
- বন্ধ হচ্ছে দেশবিরোধী প্রচারে জড়িত ১৯১ নিউজ পোর্টাল
- বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় মেক্সিকো
- রমজান ঘিরে বাড়ছে আমদানি
- রোহিঙ্গা আসা ঠেকাতে বিজিবিকে চিঠি
- সমন্বিত ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার
- সীমান্ত সড়ক পরিদর্শনে সেনাপ্রধান
- অল্প সময়ে ডলারের বিনিময় মূল্যের অসামঞ্জস্যতা দূর হবে: গভর্নর
- পাবনায় পুনবার্সন হলো ১৩১ ভিক্ষুক
- বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণে তদারকি বাড়ল
- আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ পেল বাংলাদেশ
- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বলেই এত উন্নয়ন- প্রধানমন্ত্রী
- জয়পুরহাটে মঞ্চায়িত হলো নাটক `অন্য রকম দিগন্ত’
- চিকেন পক্স থেকে বাঁচতে যা খাবেন
- এক পায়ে ভর করে সবজি চাষ, বছরে আয় ৭ লাখ টাকা!
- গলা কাটার পরও হেঁটে বেড়াচ্ছে মানতের মোরগ, এলাকায় চাঞ্চল্য
- সিনেমা ছেড়ে শেফ হতে চেয়েছিলেন শাহরুখ
- বিশ্বের সবচেয়ে কৃপণ কোটিপতি!
- দাওয়াত খেয়ে যে দোয়া পড়বেন
- ফাইনালের আগের রাতের স্মৃতিচারণ করে যা বললেন মেসি
- জয়পুরহাটে চিকিৎসকদের প্রচারণামূলক মাইকিং নিষিদ্ধ
- রাজস্থলী-সাইচল সীমান্ত সড়ক প্রকল্প পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান
- রাষ্ট্রপতির কাছে সাত দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
- আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী
- জয়পুরহাটে ‘ভ্যালেনসিয়া’ জাতের আলুর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা
- জয়পুরহাটে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত
- স্মার্ট দেশ গড়তে নৌকায় ভোট দিন
- জনগণের সঙ্গে পুলিশের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট উপহার দিলেন মেয়র লিটন
- ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পেল ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক’
- জয়পুরহাটে চাহিদার তুঙ্গে বেগুনি ফুলকপি, চাষে লাভবান কৃষক
- জয়পুরহাটে দেশি মুরগি পালনে ভাগ্য বদল সুফিয়ার
- জয়পুরহাটে আলুর বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষক
- এবার গলাচিপায় প্রতিদিন কালো ডিম দিচ্ছে পাতিহাঁস
- পরিযায়ী পাখিতে মুখর নীলসাগর
- জয়পুরহাটে সরিষার মধুতে মুখে হাসি খামারিদের
- রাজবাড়ীতে জেলের জালে ধরা পড়ল বিশাল বোয়াল
- শেষ হলো জয়পুরহাট জেলার যুব গেমস প্রতিযোগিতা
- রক্তাক্ত পরীমণি, বিচ্ছেদ ঘটনার নতুন মোড়!
- জয়পুরহাটে সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ শুরু
- জয়পুরহাটে ‘ভ্যালেনসিয়া’ জাতের আলুর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা
- পরী-রাজকে কাকের সঙ্গে তুলনা করলেন ঝন্টু
- ডালিম চাষে হারুনের লাখ টাকা আয়ের আশা!
- পাঁচবিবিতে ৫১তম জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- রাজবাড়ীতে এক চিতলের দাম ৩০ হাজার
- জয়পুরহাটে দরিদ্র হিন্দুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
- দ্বিগুণ লাভে শরীফের ১৫ লাখ টাকার কুল বিক্রির আশা!
- পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২০ বস্তা টাকা
- একটি ছাগল দিয়ে শুরু করে কোটিপতি তরুণ উদ্যোক্তা রাসেল!
- জয়পুরহাটে ২৯১ বোতল ফেন্সিডিলসহ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
