• শুক্রবার   ৩১ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১৭ ১৪২৯

  • || ০৯ রমজান ১৪৪৪

জাগ্রত জয়পুরহাট

গলা কাটার পরও হেঁটে বেড়াচ্ছে মানতের মোরগ, এলাকায় চাঞ্চল্য

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩  

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় গলা কাটার পরও হেঁটে বেড়ানো এক মোরগকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মোরগটিকে এক নজর দেখতে দুপুরের পর থেকে শতশত মানুষ ভিড় করছেন উপজেলার চরপলাশ গ্রামে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার মেঘশিমুল গ্রামের মো. ফেরদৌস মিয়া নামের এক ব্যক্তি চরপলাশে অবস্থিত আধ্যাত্বিক সাধক মাওলানা শাহ রইছ উদ্দিনের মাজারে একটি মোরগ মানত করেন। কিন্তু ওই মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের মতো বাৎসরিক ওরছ মাহফিলে এ বছর তিনি মানতের মোরগ নিয়ে উপস্থিত হতে পারেননি।

ফেরদৌস মিয়া জানান, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে গৃহে পালিত কয়েকটি মোরগের মধ্য থেকে খাওয়ার জন্যে একটি মোরগ জবাই করার চেষ্টা করেন তিনি। মোরগটির খাদ্য নালি সম্পূর্ণ কাটার পরও মোরগটি দাঁড়িয়ে আছে এবং স্বাভাবিক হাঁটা-চলা করছে। এ বিষয়টি দেখে তিনি ভাবেন, ভুলক্রমে মানতের মোরগ জবাই করার চেষ্টা করছেন তিনি। পরে দুপুরের দিকে নেত্রকোনা থেকে অর্ধ জবাই ওই মোরগ নিয়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরপলাশ গ্রামে শাহ রইছ উদ্দিনের মাজারে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানালে মানুষের মুখে মুখে রটে যায়। মোরগটিকে এক নজর দেখতে দুপুরে পর থেকে ওই মাজারে মানুষের ঢল নামে।

বিষয়টি স্থানীয়রা সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ টিটুকে জানালে তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণুকে জানান। পরে বিকেলের দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান, মোরগটির খাদ্যনালী কাটা হলেও রক্ত সঞ্চালন ও অন্যান্য অঙ্গ স্বাভাবিক রয়েছে। এর ফলে মোরগটি তার শক্তি পূর্বে মতো থাকায় মোরগটি হাঁটা-চলা করতে পারছে। এসময় উপস্থিত সবার অনুরোধে তিনি নিজেই মোরগটিকে পুনরায় জবাই করেন।

আনোয়ার হোসেন আরও জানান, এটি কোনো ধর্মীয় বিষয় নয়। মোরগটিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় জবাই করতে না পারায় মোরগটি মরে নাই। এতে কারো বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু জানান, দায়িত্বের জায়গা থেকে তিনি বিষয়টি সমাধান করার জন্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। বিষয়টি যেহেতু সমাধান হয়েছে তাই মোরগকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের গুজব যাতে না রটে সে সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ টিটু জানান, সঠিক জবাই না হওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। এলাকাবাসীকে এ বিষয়টি সম্পর্কে স্বাভাবিক থাকার অনুরোধ জানান।

জাগ্রত জয়পুরহাট
জাগ্রত জয়পুরহাট