শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:২০, ৭ মে ২০২৩

পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকের চিরকুটে যে ‘কথা’ লিখেছেন পারভীন

পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকের চিরকুটে যে ‘কথা’ লিখেছেন পারভীন

শনিবার সকাল ৮টা। ওই সময় খোলা হয় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দান সিন্দুক। তবে এবার দান সিন্দুকে ১৯ বস্তা টাকার সঙ্গে পাওয়া গেছে একটি চিরকুট। এছাড়াও মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশকিছু স্বর্ণালংকারও। সিন্দুকের টাকার সঙ্গে পাওয়া চিরকুটটি লিখেছেন পারভীন নামে এক নারী। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। ওই চিরকুটে পারভীন লিখেন, ‘আমার নাম পারভীন। আমার শরীর অনেক অসুস্থ। আমার পাগলা বাবার মসজিদে আসার অনেক ইচ্ছা ছিল, আসতে পারলাম না। পাগলা বাবার মসজিদে আমার আরজি যে, আমার ছেলে-মেয়েকে যেন ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারি।

আমার শরীরে অনেক ব্যথা, আমি চলতে পারি না। আমার কিডনি সমস্যাও আছে। আমি পাগলা বাবার কাছে এই দোয়া চাই যেন, আমার এই সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যায়। তাহলে আমি পাগলা বাবার মসজিদের দানবাক্সে দুই হাজার টাকা দিবো। আর আমি যদি ভালো থাকি, তাহলে আমি নিজেই আসবো। আমি তো শুনি, পাগলা বাবার কাছে যে আসে সবার মনের আশা পূরণ হয়। আমার আশাগুলো যেন পূরণ হয়। আমিন।’

জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।

জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি ৩ মাস ৭ দিন পর দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ১৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এবার ৪ মাস পর ৮টি দান সিন্দুক খোলা হলো। এবার পাগলা মসজিদের সিন্দুক মিললো ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রূপার অলংকার।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ