রাবানের আনারস, রসে টস টস
জাগ্রত জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩

স্বাদ ও গুণগত মানের দিক থেকে সারাদেশে খ্যাতি কুড়াচ্ছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউপির রাবানের আনারস। নরসিংদীতে একটি প্রবাদ আছে, ‘রাবানের আনারস রসে টস টস’। আনারস উৎপাদনের দিক থেকে পলাশের রাবান বাংলাদেশের প্রসিদ্ধতম স্থান হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
উপজেলার জিনারদী ইউপির বেশিরভাগ এলাকায় আনারসের আবাদ করা হয়। আবহাওয়ার দিক থেকে এই এলাকার মাটি আনারস চাষের উপযোগী হওয়ায় বাড়ির আঙ্গিনাসহ অনাবাদি জমি বা টেক- টেঙ্গর গুলোতেও আনারসের চাষ করতে দেখা যাচ্ছে। এ এলাকার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে আনারস।
আনারস রসালো, সুস্বাদু ও সুমিষ্ট ফল। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্বাহ ও অর্থকরী ফসল হচ্ছে একমাত্র আনারস চাষ। প্রায় ১৫০ বছর আগে ঘোড়াশালে দেশীয় জাতের আনারসের চাষ হতো। যার এরইমধ্যে বিলুপ্তি ঘটেছে।
বর্তমানে যে আনারসের চাষাবাদ করা হচ্ছে তাও প্রায় ৫০ বছর আগে সিলেট থেকেই পলাশের রাবানে আসে। উপজেলার ঘোড়াশাল ও রাবান আনারস চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ৫০ বছরে এ জাতটি এখানে ব্যাপক সফলতা লাভ করে এবং এর ব্যাপক প্রসার ঘটে।
ঘোড়াশাল ও রাবানে চাষকৃত সিলেটের এ প্রজাতির আনারসের জাতটি জলডুগি আনারস নামে সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করে। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল ‘হ্যানিকুইন’।আর এ জাতের আনারসের ফলন টেঙ্গর এলাকার জমিততে ভালো হয়। জৈষ্ঠ্যমাসের শুরুতেই কিছু কিছু বাগানে পাকতে শুরু করে যা ভরপুর পাকে জৈষ্ঠ্যমাসের শেষের দিকে। বাজারে এর চাহিদা খুবই বেশি। আবার কিছু কিছু বাগানে সবেমাত্র আনারসের ফলন এসেছে, যা আরও দুমাস পর পাকতে শুরু করবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাবান, কুড়াইতলী, বিলপাড়, কাটাবের, বরিবাড়ি, সানের বাড়ি,দড়িহাওলা পাড়া, উত্তরচন্দন, বরাব, ধলাদিয়া, গোবরিয়াপাড়া, লেবুপাড়া, সাতটিকা ও টেঙ্গর পাড়া। অপরদিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী, রাজাব, খাওগাইর, চামড়াবসহ কয়েকটি স্থানে আনারসের চাষ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৪৫ হেক্টর জমিতে আনারসের আবাদ করা হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৫০০ মেঃটন।
রাবানের আনারস চাষী সমিরন রায় ১০ বিঘা জমিতে ও মধু ভৌমিক ১২ বিঘা জমিতে আনারস চাষ করেছেন। তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়,তারা প্রায় ৩২ বছর যাবৎ আনারসের চাষ করে আসছে। তারা জানায়, প্রতি বিঘা জমিতে আনারস চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ হলে আনারসের ফলন ভাল হলে প্রতি বিঘার আনারস বিক্রি হয় প্রায় ৭০/৮০ হাজার টাকা। এতে দেখা যায় লাভ হয় বহু গুণ। বেশির ভাগ আনারস চাষি আনারস চাষ করে বহু সম্পদের মালিক হয়েছেন।
রাবানের আনারস চাষ দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। আনারসের ফলন ভাল হলে প্রতি বছর আনারসে পলাশ উপজেলায় আয় হয় প্রায় ১২ কোটি টাকা। প্রতি একর জমিতে প্রায় ১৮ হাজার আনারসের চারা রোপণ করা হয়। উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে রাবানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আনারস উৎপন্ন হয়।
কৃষকরা জানায়, আনারস পচনশীল ফল হিসেবে এর সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকা দরকার। আনারস সংরক্ষণের জন্য পলাশে কোন হিমাগার আজও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। কৃষকরা আনারস সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার স্থাপনের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান। রাবানে আনারস চাষে চাষীদের মনোবল রয়েছে পর্যাপ্ত। আধুনিক সভ্যতার যুগে এখনও পলাশের এলাকায় সনাতন পদ্ধতির মাধ্যমেই আনারসের চাষ হচ্ছে।
আনারস চাষীরা জানায়, আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আনারস চাষ করলে আরও অধিক ফলন হত এবং দেশও অর্থনৈতিকভাবে আরও লাভবান হত।
এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা বক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বছর সেচ ও বৃষ্টির অভাবে আনারস একটু দেরিতে হয়েছে। মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে আনারস চাষিদের আনারস চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি। পোকামাকড়ের আক্রমণ ও বিভিন্ন রোগবালাই প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বসত বাড়ির আঙ্গিনা ও অনাবাদি জমিতে আনারস চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছি।

- পাঁচবিবিতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত
- কালাইয়ে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত
- আরও ৪৬ দেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তির উদ্যোগ
- সংসদ ভাঙলেও বহাল থাকবে সরকার
- আজ থেকে মেট্রোরেল চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত
- ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের নামে দুদকের মামলা
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা থাকছে বাজেটে
- জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো দেশের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- সরকারের ঋণ কমেছে ২৩ হাজার কোটি টাকা
- আইসিটি, অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুইডেনের বৃহৎ বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আরও বিনিয়োগ করুন
- পাকা আমের ভাপা সন্দেশ
- বাণিজ্যিকভাবে লাল আঙ্গুর চাষে সফল হাসেম আলী!
- পুকুর খননে বের হচ্ছে দুই রঙের পানি, জনমনে কৌতূহল
- এক গাছে আট জাতের আম!
- ফাঁস হওয়া ভিডিও নিয়ে যা বললেন সুনেরাহ
- ৩০ সেকেন্ডেই শেষ এক গ্রামের ভোট!
- অমুসলিম শিশুরা কি জান্নাতে যাবে?
- প্রথম ফুটবলার হিসেবে মহাশূন্যে হলান্ড
- জয়পুরহাটে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
- পাঁচবিবিতে নবাগত ইউএনওর যোগদান
- জনগণই রাষ্ট্রের মালিক, এজন্য আমরা জনতার দুয়ারে: হুইপ স্বপন
- জয়পুরহাটের তেঘর উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো স্বাস্থ্য মেলা
- বাংলাদেশে আরও সুইডিশ বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- আজ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
- জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- সনদ পুড়িয়ে ফেলা ইডেন শিক্ষার্থীকে চাকরি দিলেন পলক
- খাতুনগঞ্জে ১৮০ টাকা দরে আদা বিক্রির প্রতিশ্রুতি
- চলতি সপ্তাহে শুরু ফাইজারের তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ
- এবার `বিশেষ দুর্নীতি` ধরতে দুদকের স্ট্রাইকিং ফোর্স
- আক্কেলপুরের আনোয়ার ইঁদুর মেরে পেয়েছেন কৃষি অধিদপ্তরের পুরস্কার
- পেশা ইঁদুর মারা, পেয়েছেন কৃষি অধিদপ্তরের পুরস্কার
- ছাগল পালনে লাখপতি নিলুফা!
- পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকের চিরকুটে যে ‘কথা’ লিখেছেন পারভীন
- রাজ্য ছাড়াও রয়েছে পরীমণির আরও এক সন্তান!
- জেলের জালে ধরা পড়ল ১২২ কেজির শাপলাপাতা মাছ
- জয়পুরহাটে মাচায় তরমুজ চাষে কর্মসংস্থান
- পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
- কালাইয়ের মাঠে সোনালী ফসলের হাতছানি
- অর্থ সংকট : এই প্রথম ‘হজ কোটা’ ফেরত পাঠাল পাকিস্তান
- জয়পুরহাটে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত কৃষকরা
- বাংলাদেশ স্কাউটসে জয়পুরহাট জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন বাবা-ছেলে
- নকল করতে না দেওয়ায় শিক্ষকের মাথা ফাটালো পরীক্ষার্থীরা
- ধূমপান ছাড়তে খাঁচা দিয়ে নিজের মাথা ও মুখ আটকালেন যুবক!
- চলনবিলের সুস্বাদু ক্ষীরা যাচ্ছে সারাদেশে
- জয়পুরহাটে হলুদ তরমুজের বাম্পার ফলন,দামেও খুশি চাষিরা
- রাজশাহীতে আড়াই টাকা কেজি দরে আম বিক্রি
- সেন্টমার্টিনে মসজিদে তাহাজ্জুদ আদায় করে কান্নার রোল
- মাছ কেটেই চন্দ্রার দৈনিক ১২ শ টাকা আয়
- রসুনের রাজ্যে লিচু, সুনাম ছড়াচ্ছে সারাদেশে
