• শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৫ ১৪৩০

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

জাগ্রত জয়পুরহাট

মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে সাফল্য

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

জানা যায়, মনিনুর রহমান একজন আদর্শ সবজিচাষি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রতিবছর তিনি বিভিন্ন রকমের সবজির চাষ করে থাকেন। বাজারে এ সবজির চাহিদা, দাম বেশি ও ফলন ভালো হওয়ায় তিনি এ সবজি চাষ করে আসছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, তার বাড়ির পাশে মাঠে দুই বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধিতে উচ্ছে, শসা, বেগুন, পটোল, ঝিঙে চাষ করেছেন। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে বড় বড় লম্বা ঝিঙে মৃদু বাতাসে মাচায় দুলছে।

দুই বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষে খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তিনি লাখ টাকার বেশি শসা ও পটোল বিক্রি করেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান। তিনি বলেন, ‘ঝিঙে ও পটোল এখনো এক লাখ টাকার বিক্রি হবে। বর্তমানে এখানে পাঁচজন মানুষের কর্মস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। মমিনুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শার্শা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ শেষে এ আর মালিক সিড কোম্পানির ময়নামতি জাতের শসার বীজ বগুড়া থেকে সংগ্রহ করে বপন করেন তিনি। মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি এবং রাসায়নিক ও জৈবসার একসঙ্গে প্রয়োগ করে আবাদকৃত জমি পলিথিনের মালচিং শেড দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এতে অতিবৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হয়।

মমিনুর রহমান জানান, শসা ও ঝিঙে রোপণের ২৫ দিনের মধ্যে ফুল আসে ও ৪৫ দিনের মধ্যে বড় হয়ে যায় এবং ৭০ দিন পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়। ১২ মাসেই শসা, পটোল ও ঝিঙের ব্যাপক চাহিদা থাকে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে পাইকারি হিসাবে ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ থেকে সহযোগিতা পেলে কৃষিতে আরও সাফল্য হবে।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল জানান, চলতি মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদন হয়েছে। ৫০ হেক্টর জমিতে শসা উৎপাদন হয়েছে। মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ হলো আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহারে জমিতে সার ও সেচ অন্যান্য পদ্ধতির থেকে কম লাগে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় রোগবালাইও অনেক কম। আগাছা দমন হওয়ার জন্য এই পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো কাজ হয়।

জাগ্রত জয়পুরহাট
জাগ্রত জয়পুরহাট