রোববার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ || ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

প্রকাশিত: ১০:২৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অনাবাদি জমি চাষে সফল কৃষক ফজল

অনাবাদি জমি চাষে সফল কৃষক ফজল

অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা হয়নি। জীবিকার তাগিদে চাকরি নেন গার্মেন্টেসে। কিন্ত উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নে সেই চাকরি ছেড়ে গ্রামে কৃষি খামার গড়েন আবুল ফজল (৪২)। কৃষি অফিসের পরামর্শে শত বছরের অনাবাদি অনুর্বর জমিতে চাষাবাদ করেছেন। শুরুতে কঠিন সময় পার করলেও এখন তিনি সফল। সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বৃহত্তর সেরা কৃষক পুরস্কার পেয়েছেন।

আবুল ফজলের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বোকাইনগর ইউনিয়নের বালুচড়া গ্রামে। চাকরি ছেড়ে কৃষি করছেন কথা শোনে অনেকেই কটূক্তি করতো। ছিল পুঁজির সংকট। কিভাবে হলেন সেই গল্পটা শোনা গেলো ফজলের মুখ থেকে। আবুল ফজল বলেন, অভাবের তাড়নায় নবম শ্রেণিতে পড়াশোনার ইতি ঘটলে ১৯৯৭ সালে চাকরি নেয় গার্মেন্টেসে। বেতনের জমানো টাকায় ২০১৬ সালের দিকে বাড়িতে চারটি গরু কিনে ছোট্ট ফার্ম করি। আয় বাড়াতে ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে গ্রামে গরুর ফার্মের পাশাপাশি বিষমুক্ত শাক-সবজি, কুল, কমলা ও ঘাস চাষাবাদ শুরু করি।

বালুচড়া গ্রামে শত বছরের বেশি অনাবাদি দুই একরের বেশি জমি লিজ নিয়ে কৃষি খামার করেছেন ফজল। নিজের গরুর ফার্মের বর্জ্য থেকে ভার্মি কমপোস্ট সার উৎপাদন করে বিষমুক্ত পদ্ধতিতে খামারে লাউ, কুমড়ো, শিম, টমেটো, বেগুন, করলা সহ বিভিন্ন মৌসুমী শাক-সবজি উৎপাদন করেন। পাশাপাশি গোখাদ্যের জন্য করেছেন ঘাস ও সজনার বাগান। আরো আছে করেছেন কুল ও কমলা চাষ। ৪টি গরু দিয়ে ফার্ম শুরু করা ফজলের খামারে এখন ১৪টি গাভী রয়েছে। খামারের উৎপাদিত ঘাস ও সজনা পাতায় ফার্মের গরুর চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি করেন। পাশাপাশি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দুধ ও বিষমুক্ত সবজি বাণিজ্যিক ভাবে পাঠানো হয় আশেপাশের জেলা উপজেলায়।

আবুল ফজল বলেন, আমার খামারের জমিগুলো শতবছর ধরে অনাবাদি থাকায় অনুর্বর ছিল। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে সেই জমি চাষাবাদ করে আমি সফল হয়েছি। এখন গরুর ফার্ম ও কৃষি খামার থেকে প্রতি মাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় হয়। পাশাপাশি গ্রামের ১০/১২ জন যুবকের কর্মসংস্থান করেছি। আগে মানুষ কটূক্তি করলেও এখানে অনেকেই কৃষি বিষয়ে পরামর্শ নেয় আমার কাছে।উপজেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসনাত বলেন, ফজল ভাই গার্মেন্টেসে ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে অনাবাদি জমিতে কৃষি খামার করছেন দেখে অবাক হয়েছিলাম। কিন্ত তিনি প্রমাণ করেছেন কঠোর পরিশ্রম করলে সফল হওয়া যায়। গ্রামের বেকার যুবকরা এখন তাকে দেখে কৃষিতে ঝুঁকছে। উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নার লিপি বলেন, আবুল ফজল গরুর খামার, সজনা ও ঘাসের বাগান করার পাশাপাশি অনাবাদি জমিতে বিষমুক্ত পদ্ধতিতে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিকা রাখায় তিনি প্রথম ‘কৃষক পুরস্কার’ পেয়েছেন। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সব ধরণের সহযোগিতা করে আসছি।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শিরোনাম

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিতশিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না থাকে সেটি নিশ্চিত করতে চাইঃ দীপু মনিক্ষতিকারক যেসব অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে ডিলিট করল গুগলসায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন আজবিনামূল্যে স্কুল চালিয়ে শিক্ষক পেলেন ১০ কোটি টাকা পুরস্কারআন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আজসূর্যের বিরল ছবি তুলল ভারতের মহাকাশযান আদিত্যবিজয় দিবসে বিমানের টিকিটে ১৬ শতাংশ ছাড়প্রভাসের নায়িকা তৃপ্তি, বাজেট ৫২৬ কোটি টাকা?সোনিয়া গান্ধীকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালেন মোদিড্র হওয়া সিরিজে সেরা স্বর্ণামনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ দিন আজকোপা আমেরিকা ২০২৪ : একনজরে দেখে নিন সূচিবৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর