পরীক্ষামূলক ভাবে ব্রকোলি চাষে কৃষকের মুখে হাসি

পরীক্ষামূলক ভাবে ব্রকোলি (সবুজ ফুলকপি) চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষক বদিরুজ্জামান। লাভজনক ফলন হওয়ায় কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্রকোলি। জানা যায়, গ্রামের নিজ জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথম ব্রকোলি চাষ করেছেন কৃষক বদিরুজ্জামান।
তিনি যশোরের ইমিস্কো এগ্রো কোম্পানি থেকে ব্রকোলির বীজ সংগ্রহ করেন এবং বাড়িতে মাটি ছাড়াই শুধুমাত্র জৈব সারের ওপরে ককশিটে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করেন। কৃষক বদিরুজ্জামান জানান, তার নিজস্ব ২০ শতক জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে ব্রকোলির ২ হাজার চারা রোপণ করেন। রোপণের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ফলন ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে। ২০ শতক জমিতে সর্বমোট খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তিনি ১৫ হাজার টাকার ব্রকোলি বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করছেন ওই ২০ শতক জমিতে ৩০ হাজার টাকার অধিক ব্রকোলি বিক্রি করতে পারবেন। এই ফলন সর্বনিম্ন ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে জমি থেকে ক্রয় করে বাজারে নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরো জানান, এই আবাদে রোগের তেমন কোন প্রভাব নেই। ব্রকোলির বেশ চাহিদা থাকায় এটি বাজারজাত খুব সহজেই করা যায়। তিনি আরো ২০ শতক জমিতে মারবেল জাতের ব্রকলি চাষ করেছেন। সেটি ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই ফলন ফলবে। ব্রকলির ফলন দেখতে আসা খবির উদ্দিন ও শাহিদুল ইসলাম জানান, মানুষের মুখে শুনে ব্রকলি নামের সবুজ ফুলকপির চাষ দেখতে এসেছি। এটি সাধারণ ফুলকপির মতোই দেখতে কিন্তু এর রঙ সবুজ। বদিরুজ্জামানের জমিতে ব্রকোলি চাষ এবং এটি চাষে লাভবান হওয়ায় অন্যান্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন ব্রকোলি চাষে।
কৃষক মালি কান্ত বর্মণ ও মোজাফ্ফর হোসেন জানান, ব্রকোলি চাষে বেশ লাভবান হয়েছে বদিরুজ্জামান। তারা বদিরুজ্জামানের কাছে এই সবজি চাষ সম্পর্কে জেনেছেন এবং আগামীতে এই সবজি চাষের পরিকল্পনা করছেন। বদিরুজ্জামানের কাছেই ব্রকোলির চারা সংগ্রহ করবেন তারা।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, ব্রকোলি খুবই সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং উচ্চমূল্যের সবজি। এটি খুবই দ্রুত ফলন হয়। ফলে এই ফলন ঘরে তোলার পর ওই জমিতে আবারো অন্যান্য ফলন ফলানো যায়। এখানকার জমিতে ব্রকোলি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। বদিরুজ্জামান পরীক্ষামূলক ব্রকোলি চাষে লাভবান হয়েছে। তাকে দেখে অন্যান্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন ব্রকোলি চাষে।
জাগ্রত জয়পুরহাট