শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

শুভ জন্মদিন শেখ হাসিনা : উন্নয়নের অদম্য রূপকার

শুভ জন্মদিন শেখ হাসিনা : উন্নয়নের অদম্য রূপকার

‘নদীর নাম রেখেছিলাম শেখ হাসিনা/ কোন পাষাণ আজও বলেনি বাংলাদেশকে ভালোবাসি না।/ সুখ আছে, কষ্ট আছে/ আছে গরিব ভাইবোন/ ও মা তোমার শীতল পাটি/ বিছিয়ে দিলে কখন?’ দুই বাংলার বিখ্যাত কবি সুবোধ সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিয়ে লিখেছেন ‘বাংলাদেশ’ কবিতা। যেখানে তাকে তুলনা করেছেন নদীর সঙ্গে। নদীমাতৃক বাংলাদেশ যেমন বাঁচিয়ে রেখেছে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মানচিত্র, তেমনি মায়ের আঁচল বিছিয়ে সন্তানসম বাঙালিকে বুকে আগলে জাতিকে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন শেখ হাসিনা। গত চার দশক ধরে ‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্পের’ মতোই বঙ্গবন্ধুর নৌকা প্রতীক নিয়ে ছুটে চলেছেন গ্রাম থেকে গ্রামে। এক যুগ ধরে, ধরে রেখেছেন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের হাল। বুলেট তাড়া করে ফেরা মৃত্যুকে তুচ্ছ করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অর্থনীতির চাকা। হেনরি কিসিঞ্জারের বটমলেস বাস্কেটকে বিশ্বে পরিচিত করেছেন উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে। সাবমেরিন ক্যাবল থেকে মহাশূন্যে লাল-সবুজের পতাকার জয় আত্মপ্রত্যয়ী নন্দিত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সাফল্যগাঁথা আজ দেশ-বিদেশে স্বীকৃত।

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার নিভৃত পল্লীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার কোল আলোকিত করে জন্ম নেন শেখ হাসিনা। আজ তার ৭৬তম জন্মদিন। শেখ হাসিনার শৈশব কৈশোর কেটেছে বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গীপাড়ায় বাঙালির চিরায়ত গ্রামীণ পরিবেশে, দাদা-দাদির কোলে-পিঠে। পিতা শেখ মুজিবুর রহমান তখন জেলে বন্দি, রাজরোষ আর জেল-জুলুম ছিল তার নিত্য সহচর। শিশু হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গীপাড়ার এক পাঠশালায়। এরপর টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়, আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা, ঢাকার বকশী বাজারের ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমানে বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ১৯৬৭ সালে। ওই বছরই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

স্কুল জীবনেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি : কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতিতে পদচারণা তার। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভানেত্রী (ভিপি) নির্বাচিত হন বিপুল ভোটে। কারাবন্দি পিতার আগ্রহে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর। বিয়ের পর বাঙালির ১১ দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। একাত্তরের ১৭ ডিসেম্বর পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্ত হন তিনি। পঁচাত্তরের পনের আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে সপরিবারে জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

গৃহবধূ থেকে সফল রাষ্ট্রনায়ক : একাত্তর থেকে একাশি- বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তখন শুধুই গৃহবধূ। পঁচাত্তরে সব হারানো শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিতে রাজি করাতে দিল্লিতে যান আওয়ামী লীগ নেতা সদ্য প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, প্রয়াত জিল্লুর রহমান, প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক, প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদ ও আমির হোসেন আমু। শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার লেখা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ বই থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এ প্রস্তাবে ওয়াজেদ মিয়ার সম্মতি ছিল না। অবশ্য শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে দলের সভাপতি করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন লাখ লাখ জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার একজন কর্মী, আপনাদের কাছে থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য আপনাদের নিয়ে নিরলস সংগ্রাম করে যাবো। বিশ্লেকদের মতে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেকগুলো নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা। যারা ভেবেছিলেন বাংলাদেশে মুজিব হত্যার বিচার হবে না, আওয়ামী লীগ আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারীদের বিচার হওয়া সম্ভব নয়- তাদের ভুল প্রমাণ করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে আর সবাই পরাজিত হয়েছেন।

জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ এবং রায় কার্যকর করে জাতির কলঙ্কমোচন করেছেন। জঙ্গিবাদ দমন করে যাচ্ছেন কঠোর হাতে। সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সমুদ্রে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লæ ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময় তার সুদক্ষ, সাহসী নেতৃত্ব ও সফল কূটনৈতিক তৎপরতার পরিচয়।

‘কন্যা তুমি দেশমাতৃকার’ শিরোনামের কবিতায় কবি তপন বাগচীর উচ্চারণ যেন আজ বিশ্বের সব বাঙালির উচ্চারণ- ‘টুঙ্গীপাড়া গ্রাম থেকে উঠে এসে তুমি আজ বিশ্বের প্রতিমা/ ‘জাতির পিতা’র কন্যা আমাদের বঙ্গবাসী জাতির প্রতীক/ দেশপ্রেমে মগ্ন থেকে ক্রমশ পেরিয়ে যাও কালপরিসীমা/ তোমার নামেই আজ ধ্বনি ওঠে, মুখরিত হয় চারিদিক।’

উন্নয়নের অদম্য রূপকার : ১৬ জুলাই ২০০৭। গ্রেপ্তার হন শেখ হাসিনা। ঠাঁই হয় জাতীয় সংসদ এলাকার সাবজেলে। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছেন সব সংকট ও আঘাতের ক্ষত। তার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, শিক্ষা, চিকিৎসা, নারীর ক্ষমতায়ন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ প্রায় সব খাতে বিশ্বের বুকে নতুন নজির স্থাপন করতে শুরু করে বাংলাদেশ। করোনা মহামারি মোকাবিলায় সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। স্বীকৃতি মিলেছে উন্নয়নশীল দেশের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়ার প্রায় সব দেশের ওপরে। তার সঠিক নেতৃত্ব, সময়োচিত পদক্ষেপ, মানুষের জন্য আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা, অর্থনীতিকে বাঁচাতে প্রণোদনা ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের কারণে দেশে অনাহারে একজন মানুষেরও মৃত্যু হয়নি, খাদ্যের জন্য কখনো কোথাও হাহাকার হয়নি। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৪ বছর ৪ মাসে উন্নীত, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, স্বাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশে উন্নীত করা, ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, প্রবীণ রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা যেমন বলি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তেমনই শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের কাজ জাতি চোখে দেখতো না। শেখ হাসিনার জন্মের সফলতা ও স্বার্থকতা কর্মের মধ্য দিয়ে। দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার রোল মডেল। শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়ন এবং অর্জনের রোল মডেল। তিনি নিজে যা অর্জন করেছেন, তা নজিরবিহীন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে বিশেষ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন।

শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্য অন্তঃপ্রাণ শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন। তার লেখা এবং সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রকাশিত অন্যতম বইগুলো হচ্ছে- শেখ মুজিব আমার পিতা, সাদা কালো, ওরা টোকাই কেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, দারিদ্র্য দূরীকরণ, আমাদের ছোট রাসেল সোনা, আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম, সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র, আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক উন্নয়ন, বিপন্ন গণতন্ত্র, সহেনা মানবতার অবমাননা, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, সবুজ মাঠ পেরিয়ে প্রভৃতি।

শুভ জন্মদিন ‘হাসু আপা’ : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে জন্মদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী। তার অনুপস্থিতিতেই দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করবে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে (বাসাবো, সবুজবাগ) বৌদ্ধ স¤প্রদায়, সকাল ৯টায় খ্রিস্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সিএবি) মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে, সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু স¤প্রদায় বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে। এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। বিকাল ৩টায় সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বরদেশ্বরী কালী মন্দির প্রাঙ্গণে দুই হাজার প্রান্তিক জনগণের মধ্যে মানবিক সহায়তা ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম।

এছাড়া ঢাকাসহ সারাদেশে সব সহযোগী সংগঠন আলোচনা সভা, আনন্দ র‌্যালি, শোভাযাত্রা, দোয়া মাহফিল, বিশেষ প্রার্থনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ দিবসটির তাৎপর্য অনুযায়ী যথাযথ স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন করবে।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ