৭৩ বছর পর ট্রেন যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দরে
জাগ্রত জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দ্রুত এগিয়ে চলেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। এরই মধ্যে খুলনা-মোংলা রেলপথের কাজ ৯৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের জুনে বাকি কাজ শেষ হওয়ার কথা। একইসঙ্গে জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৭৩ বছর পর রেল যোগাযোগে যুক্ত হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। মোংলা বন্দর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। খুলনা শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে পশুর নদী ও মোংলা নদীর সংযোগস্থলে বন্দরের অবস্থান।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পণ্য ও পর্যটন পরিবহনে মোংলা বন্দরকে রেলসেবার আওতায় আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার রেলপথ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে রেলপথের ৯৬ শতাংশ কাজ। চলতি বছরের জুনে পুরো কাজ শেষ হবে।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রেলসেবা চালু হলে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে। রেলপথ না থাকায় এতদিন বন্দরের বড় বড় কনটেইনার পরিবহনে সমস্যা হতো। এ ছাড়া সুন্দরবনে পর্যটক পরিবহন সহজ হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
মোংলা বন্দরের ব্যবসায়ী এইচ এম দুলাল, মশিউর রহমান ও ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, মোংলা দেশের অন্যতম সমুদ্রবন্দর হলেও এখানে এতদিন রেল সংযোগ ছিল না। ফলে বন্দরটিতে অন্যান্য দেশের বড় মালবাহী জাহাজ ভিড়তে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। বরং বড় বড় জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসছিল। এতে মোংলা বন্দরের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। যদিও মোংলা বন্দরকে রেলসেবার আওতায় আনতে ইতোপূর্বে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বর্তমানে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে ভারত, নেপাল ও ভুটানসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ সম্প্রসারণে বন্দরকে রেলসেবার আওতায় আনা হচ্ছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পটি ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি তিনটি ভাগে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্যাকেজ-১ রেললাইন নির্মাণ, প্যাকেজ-২ রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু ও প্যাকেজ-৩ টেলিযোগাযোগ ও সিগন্যালিং সিস্টেম। এসব প্রকল্পের আওতায় মূল লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। আর রূপসা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতু। ইতোমধ্যে ওই সেতুর কাজ প্রায় শতভাগ শেষ হয়েছে।
এ ছাড়া ৩১টি ছোট সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর ১০৭টি কালভার্টের মধ্যে ১০৫টির কাজ শেষ হয়েছে। ৯টি ভিইউপির নির্মাণকাজ এবং ২৯ এলসি গেটের মধ্যে ২৬টির কাজ শেষ হয়েছে। সাতটি স্টেশন বিল্ডিংয়ের মধ্যে ফুলতলা, আড়ংঘাটা ও মোহাম্মদ নগরের কাজও শেষ হয়েছে। বাকি পাঁচ স্টেশনের মধ্যে কাটাখালীর ৮০ শতাংশ, চুলকাঠির সাত শতাংশ, ভাগার ৭২ শতাংশ, দিগরাজের ৯৮ শতাংশ ও মোংলা স্টেশন নির্মাণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা
কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। গত কয়েক মাসে আরও অগ্রগতি হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে পুরো রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় লোন রয়েছে দুই হাজার ৯৪৮ কোটি এক লাখ ৮৪ হাজার টাকা। বাকি এক হাজার ৩১২ কোটি ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা সরকারি ফান্ড থেকে ব্যয় হবে।’
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণের জেলাগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলে জানালেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল না। এখন খুলনা-মোংলা রেলপথ চালু হলে সড়কপথে পণ্য পরিবহনের চাপ কমবে। সেইসঙ্গে পণ্য পরিবহন ব্যয় ও সময় কমবে। পাশাপাশি বন্দরের নৌ, সড়ক ও রেলপথের মাল্টিমোডাল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে ভারত, নেপাল ও ভুটানের পণ্য পরিবহন সহজ হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। সেইসঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে।’

- অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
- শনিবার থেকে কাটা যাবে ঈদের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট
- বেকারমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার: হুইপ স্বপন
- যশোরে বড় হচ্ছে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প
- শেষ হলো পদ্মা সেতুর রেললাইন নির্মাণ কাজ
- এমপিদের জন্য নির্বাচনী পুরস্কার, এমপিও হচ্ছে ১০০ প্রতিষ্ঠান!
- বন্দর, সড়ক ও রেলপথ নির্মাণে জাইকার ঋণ
- রাজশাহীতে পান, আম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হবে সাতক্ষীরায়
- ঋণ বিতরণের শর্ত শিথিল হলো এসএমই খাতে
- পরপর দুই বারের বেশি সভাপতি হওয়া যাবে না
- দেশে পাঁচ বছরে বেকার ৭০ হাজার কমেছে
- একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকছে না ইউএনওদের
- ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ঝামেলামুক্ত সেবা দেয়ার নির্দেশ
- ইফতারের জন্য সাবুদানার পায়েস তৈরির রেসিপি
- বারি বেগুন-১২ চাষে স্বাবলম্বী শাওন!
- মেঘনায় ধরা পড়লো ৬ মণের শাপলা পাতা
- কলকাতায় মঞ্চ মাতাবেন সালমান
- দাউ দাউ করে জ্বলছে পুরো পাহাড়
- যেসব কারণে রোজার কাজা করতে হয়
- আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চমক
- নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল বিক্রির দায়ে আক্কেলপুরে ফার্মেসি মালিকের জেল
- কালাইয়ে ভুট্টা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে!
- শুক্রবার খুলছে মেট্রোরেলের আরও দুই স্টেশন
- সরকারি সফরে চীনে নৌপ্রধান
- পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে: প্রধানমন্ত্রী
- জয়পুরহাটে বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়ীতে মেয়ের অনশন
- স্পর্শকাতর সংবাদ নিয়ে সতর্ক থাকতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
- ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ কমছে
- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন মন্ত্রিসভার
- শিক্ষার্থীকে কান-মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা যাবে না
- জয়পুরহাটে মাসকলাই রুটি বেচে ভালোই সংসার চলছে মেহেদীর
- পাটের তৈরি প্লাজো, দাম ৭৮ হাজার!
- বিয়ের ১০ বছরে ৯ সন্তান, টানা এক দশক অন্তঃসত্ত্বা!
- জয়পুরহাটে সরিষার বাম্পার ফলনে প্রাণ ফিরেছে শতাধিক তেলকলে
- কাশ্মিরের পরতে পরতে সৌন্দর্য ছড়িয়েছে ‘ঝিলাম’
- নাসার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী চৈতী, বললেন— আমি গর্বিত
- পাঁচবিবিতে নাক বিহীন এক চোখ বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
- একই জমিতে তিন ফসল চাষে সফল মুজিবুর
- দুই পা হারালেও থামেননি অদম্য হানিফ
- জয়পুরহাটে ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
- জয়পুরহাটের যেসব দোকানে কেনা যাবে দেড় শ গ্রাম মাংসও
- গোসলের সময় প্রস্রাব করার অভ্যাস থাকলে বিপদ
- রমজানে যেসব গুনাহ ভুলেও করবেন না
- তিস্তার চরের মিষ্টি কুমড়া যাচ্ছে মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর
- দিনাজপুরে ২ মাথা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম!
- আক্কেলপুরে ৫০০ বছরের ঐতিহ্য গোপীনাথপুর মেলা অনুষ্ঠিত
- জয়পুরহাটে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- সম্ভাবনা তুলে ধরে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
- জামালপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ
- নাটোরে একটি মুরগি দিনে দুটি করে ডিম দিচ্ছে!
