শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ক্লাস
জাগ্রত জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৩

দেশের বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত পাঠদান ও শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনেক বিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গা বেদখল হয়ে রয়েছে। জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলে ক্লাস। আসবাবপত্র ব্যবহার অনুপযোগী, পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থা অপর্যাপ্ত, সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষও নেই অনেক বিদ্যালয়ে। মানসম্মত শিক্ষা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় খুব সাধারণ বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা এসব স্কুলে পড়াশোনা করছে। কিন্তু তাদের ঝরে পড়ার হার তুলানমূলক বেশি।
সন্তানকে ওইসব বিদ্যালয়ে পাঠাতে চান না অনেক অভিভাবক। এমন বিদ্যালয়ও আছে, যেখানে শ্রেণিকক্ষ ময়লা-আবর্জনায় ভরা থাকে। কোথাও পুরো ভবনই বিবর্ণ। খেলার মাঠ কিংবা অবকাঠামো সংকট চরমে। এমন বাস্তবতায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান বাড়ানোসহ ক্লাসমুখী করতে সরকার বিদেশের বিদ্যালয়ের আদলে অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই স্কুলগুলো নির্মাণ করছে।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রেখে ওই প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রথম পর্যায়ে ঢাকায় নতুন-পুরোনোসহ ৩৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঢাকায় বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩৪২টি। এগুলো সংস্কারের পাশাপাশি উত্তরা ও পূর্বাচলে নতুন আরও ১৪টি অত্যাধুনিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মধ্যে উত্তরায় ৩টি এবং পূর্বাচলে ১১টি। ইতোমধ্যে ১৭টি বিদ্যালয়ের জন্য ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিশুদের মেনোযোগ আকর্ষণ করতে থাকছে ডিজিটাল ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, মাল্টিপারপাস হলরুম, ইনডোর গেমস রুম, অভিভাবকদের জন্য ওয়েটিং রুম, বঙ্গবন্ধুর মুরাল ও কর্নার, সমাবেশের জন্য নতুন ডিজাইনের স্থান, লেনের সর্বোচ্চ ব্যবহার, নতুন ধরনের ডেকোরেশন, মাল্টি গেমিং জোনসহ শিক্ষকদের জন্য আলাদা আলাদা চেম্বার। প্রতিটি বিদ্যালয় হবে ৬ তলাবিশিষ্ট। খেলার মাঠের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা, শিক্ষারর্থীদের জন্য স্যানিটাইজসম্পন্ন আলাদা ওয়াশরুম। প্রতিটি ভবনই হবে পৃথক আর্কিটেকচারাল ডিজাইনে। ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব বলছে, ঢাকা মহানগরীর ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২ লাখ ছাত্রছাত্রী পাঠ গ্রহণ করছে। নতুন ভবন তৈরি হলে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক মডেলের স্কুল নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু মো. শাহরিয়ার যুগান্তরকে বলেন, প্রথম দফায় নতুন ১৪টি বিদ্যালয় নির্মণের লক্ষ্যে রাজউকের কাছ থেকে উত্তরায় তিনটি ও পূর্বাচলে তিনটি বিদ্যালয়ের জন্য জমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। নতুন ভবন ছাড়াও ঢাকার পুরোনো ৩৪২টি বিদ্যালয় ভবনের মধ্যে ১৫৪টি ভবন নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হবে। যাতে শ্রেণিকক্ষ থাকবে ২৯৭৫টি। বাকি ১৭৭টি বিদ্যালয়ের ১১৬৭টি কক্ষের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দন করা হবে। এতে পুরোনো প্রতিটি বিদ্যালয়ের চেহারাই পালটে যাবে।
তিনি বলেন, উচ্চবিত্তের ছেলেমেয়েসহ স্কুলগামী সব শিশুকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে রাজধানীর সব বিদ্যালয়কে ‘দৃষ্টিনন্দন’ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরই অংশ হিসাবে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ মহানগরে অবস্থিত সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
অপর একজন কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর জরাজীর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ৬তলা নতুন ভবন তৈরির পাশাপাশি একধিক ভবন থাকলে সেগুলোকে মূল ভবনের আদলে সংস্কার ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হবে। পুরোনো স্কুল সংস্কার এবং দৃষ্টিনন্দন করতে যা যা দরকার, তাই করা হবে। এ কারণে একেকটি স্কুলের চেহারা একেক রকম হবে। চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সরকার ২০৩০ সালের আগেই সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বদ্ধপরিকর। এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রায় চতুর্থ নম্বরে বলা হয়েছে, সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে ন্যায্য ও মানসম্মত শিক্ষা এবং সবার জন্য আজীবন শেখার সুযোগ সৃষ্টি করা। বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম হাতিয়ার হলো শিক্ষা। জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দন হিসাবে গড়ে তুলতে একনেক সভায় এ সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা এবং এলজিইডি ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এলজিইডির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর। কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রকল্পটির কাজ শুরু হতে কিছুটা বিলম্বিত হলেও গত অর্থবছর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে শিশুরা কেজি স্কুল, কিন্ডারগার্টেন ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মানেই গরিবের বিদ্যালয়’-এই ধারণা থেকে আমরা সবাইকে বের করে নিয়ে আসতে চাই। সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য নিয়ে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবয়ব ও কাঠামো বদলে ফেলা হচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ, দৃষ্টিনন্দন ভবনে শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটানো, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, উচ্চশিক্ষা এবং পরিপূর্ণ উন্নতির ধারাবাহিকতার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করা, প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থীর জন্য শিশুবান্ধব শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিতসহ শিক্ষার মান বাড়ানো হবে।

- কন্যাশিশুদের সুদক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর
- সমুদ্রের ওপর দিয়ে প্রথম হাই-স্পিড ট্রেন চালু
- সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তানজিন তিশা
- বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেবেন যারা
- সীমান্তের কাটলা বাজারের ফুটপাতে দৈনিক ১০ মণ রসগোল্লা বিক্রি
- পাঁচবিবি ছাত্রলীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার ৭৭তম জম্মদিন অনুষ্ঠিত
- জয়পুরহাটে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি
- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, দেশে বাড়তে পারে বৃষ্টি
- অন্তর্জালে জাহ্নবীর গোপন ছবি ফাঁস!
- জয়পুরহাটে চাষ হচ্ছে কাজুবাদাম
- মৌমাছির রোগ প্রতিরোধে বিশ্বের প্রথম টিকা
- অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
- শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সারা বিশ্বে প্রশংসিত: আইনমন্ত্রী
- তামিম-সাকিব ইস্যুতে যা বললেন মিশা সওদাগর
- মাটির ঘরের দেয়াল ধসে ভাই-বোনের মৃত্যু
- ঢাকাসহ সব বড় শহর তারমুক্ত হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো: প্রধান বিচারপতি
- দেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা
- দেশে এলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানির প্রথম চালান
- প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বিআইডব্লিউটিএর উপহার নৌকা বাইচ
- সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: রাষ্ট্রপতি
- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ অন্ধকারে ফিরে যাবে: প্রধানমন্ত্রী
- জন্মদিনে শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা
- মহানবীর আদর্শ অনুসরণেই সফলতা-শান্তি নিহিত: প্রধানমন্ত্রী
- ২ কোটি টাকা খুইয়েছেন মৌসুমী-সানীপুত্র ফারদিন
- রাখিকে ‘বোন’ বলে সংসার বাঁচাতে উদ্যোগ নিলেন সানার স্বামী
- তামিম নয়, এবাদতকে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি মিস করবেন সাকিব
- স্ত্রীর বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করে কটাক্ষের শিকার জিৎ
- প্রেমে বিচ্ছেদের দুঃখ ভুলতে দুধ দিয়ে গোসল!
- অভিনেত্রী চমকের ভিডিও ভাইরাল!
- জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী আলোচনা সভায় হুইপ স্বপন
- শেখ হাসিনার সামনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অভূতপূর্ব বিনয়!
- কেন এত জনপ্রিয় জয়পুরহাটের লাল ভুনা, দিনে বিক্রি ৩ মণ
- পদ্মায় ধরা পড়ল ২৪ কেজির তিন পাঙাশ
- আপনি অসুস্থ, হাজবেন্ড জানে না, আরেক বিভাগের স্যার কীভাবে জানে
- দুপুরেই ধেয়ে আসছে ঝড়, ১৩ জেলায় সতর্কতা
- আধা সেদ্ধ তেলাপিয়া খেয়ে ৪ অঙ্গ খোয়ালেন নারী
- এক জেলায় থেকেও ছিলেন আলাদা, অবশেষে ২৪ বছর পর দেখা পেলেন বাবার
- সংসদ সদস্যদের জনকল্যাণে জীবন উৎসর্গ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ঘুষ নিয়ে দুই পুলিশের হাতাহাতি, ভিডিও ভাইরাল
- একাধিক পদে সরকারি চাকরির সুযোগ
- জয়পুরহাটে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ
- আসুন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই মিলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি
- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নারী-পুরুষের চাকরির সুযোগ
- সোহানের মৃত্যু: শাবনূরের শোক ও ক্ষোভ
- ডিপজলকে ২৫ লাখ টাকার ‘রাজকীয়’ খাট উপহার দিতে চান ভক্ত
- রাহুল আনন্দের স্টুডিওতে যাবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ
- স্ত্রীর প্রশংসা করার দিন আজ, জেনে নিন উদযাপনের উপায়
- নতুন শিক্ষাক্রমে থাকছে না মুখস্থনির্ভরতা পরীক্ষাবিহীন শিক্ষা
