• শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৫ ১৪৩০

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

জাগ্রত জয়পুরহাট

এয়ারকুলার উৎপাদনে নতুন যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, এইচসিএফসি ফেজ আউটের জন্য এমন সব বিকল্প প্রযুক্তিকে উৎসাহিত করা হয়েছে যা একই সঙ্গে ওজোনস্তর রক্ষা এবং জলবায়ু বান্ধব হবে। এর ফলে বাংলাদেশ এয়ারকুলার উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন যুগে প্রবেশ করবে।

সরকার রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং পণ্য উৎপাদকদের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ প্রদান করছে। রূপান্তরিত এসিগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হলে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রফতানির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। রোববার বিকেলে পরিবেশ অধিদফতরের মিলনায়তনে বিশ্ব ওজোন দিবস-২০২৩ এর আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ওজোনস্তার রক্ষায় গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় এইচসিএফসি ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্লান(স্টেজ-টু) বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ এইচসিএফসি’র ব্যবহার কমিয়ে আনা হবে। এ লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।

তিনি আরো বলেন, মন্ট্রিল প্রটোকল অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ ও ২০১৭ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশ প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। এছাড়া ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আমদানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ার্ল্ড কাস্টম অর্গানাইজেশন এবং জাতিসংঘ পরিবেশ এবং ওজোন সেক্রেটারিয়েট কর্তৃক ২০১৯ সালে পরিবেশ অধিদফতরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, মট্রিল প্রটোকল একটি টাইম বাউন্ড, লিগালি বাইন্ডিং ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিমেন্ট তাই এটি বাস্তবায়নে আমাদেরকে আরো যত্নবান হতে হবে। এর প্রতিটি বাধ্যবাধকতা যথাসময়ে মেনে চলতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, ইউএনডিপি’র রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টিফেন লিলার, পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের, পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) মো. জিয়াউল হক প্রমুখ।

জাগ্রত জয়পুরহাট
জাগ্রত জয়পুরহাট