শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:২৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

মাল্টা চাষে সফল তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মুক্তার!

মাল্টা চাষে সফল তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মুক্তার!

ইউটিউব দেখে, নিজের মেধা খাঁটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা বাগান গড়ে তুলেছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর চরলক্ষ্মী ইউনিয়নের হাজিমারা গ্রামে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা রেজাউল করিম মুক্তার। উৎপাদিত মাল্টা বাজারজাত করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে তিনি। মুক্তারের সাফল্য দেখে দিন দিন মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে বেকার যুবকরাও।

জানা যায়, ইউটিউব দেখে সাড়ে ৮ একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টার বাগান তৈরি করেন। এ জন্য তিনি ৮০ লাখ টাকা পারিবারিকভাবে মূলধনও পান। বর্তমানে এ বাগানে ১৫০০ মাল্টা ফলের গাছ রয়েছে। তাছাড়া তার বাগান ঘিরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে ১০ থেকে ১২ জন বেকার মানুষের।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা রেজাউল করিম মুক্তার বলেন, মাল্টার বাগান গড়ে তুলার পর ২ বছর ফলন আসলেও লাভের আশা না করে তা ছেটে ফেলে দিয়ে মাল্টার চারাগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তৃতীয় বছর থেকে ফলগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ দেন। এতে তৃতীয় বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করি। চতুর্থ বছরে অর্থাৎ গত বছর প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাল্টা বাজারের আড়ৎদারদের কাছে বিক্রি করেছি। চলতি বছর ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাজার দর ভালো পেলে মাল্টা বিক্রিতে ৩০ লাখ টাকা আয়ের আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, ১ বছর বয়সী চারা লাগানোর ২ বছর পর থেকে ফলন আসতে শুরু করে। ফুল, পরাগায়ন এবং খাবার উপযোগী মাল্টা ফল হতে ৭ থেকে ৮ মাস সময় লেগে যায়। এক-একটি মাল্টা গাছের যত্মের পেছনে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সেই হারে প্রতি গাছে ৩০০ থেকে ৪০০টির মতো মাল্টা ফল ধরে। সঠিক যত্ম নিলে একটি গাছ ১০ বছর পর্যন্ত ফলন দিয়ে থাকে।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, এমন মাল্টা বাগান, যেমন গাছের গোদ ভালো, তেমনি অধিক ফলন, বিষয়টি মুগ্ধকর। মাল্টা বাগানের ফলন আরও বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরণের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ