পাহাড়ি ঢালে টমেটো চাষে খাইরুলের সাফল্য!

কুমিল্লায় টমেটো চাষে শিক্ষার্থী খাইরুলের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। তিনি কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় পড়াশোনার পাশাপাশি করোনার সময়ে অলস সময় না কাটিয়ে নতুন নিজের জমিতে বারী-৪ গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। তার দেখাদেখি এখন এলাকায় অনেকেই গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করেছেন। তাদের অনেকেই তার কাছ থেকে চাষাবাদ বিষয়ে নানা পরামর্শ নিচ্ছেন।
টমেটো চাষি খাইরুল বলেন, আমাদের বাড়ির পাশের সীমান্তবর্তী পাহাড়ের ঢালুর পতিত জমিতে কিছু একটা করার চিন্তা করি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে টমেটো চাষ করার সিদ্ধান্ত নেই। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫০ শতক জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে পলি সেট নির্মাণ করে বারি-৪ টমেটো চাষ করছি। জমি তৈরির পাশাপাশি সিলেট কমলগঞ্জ থেকে উন্নত জাতের বারী-৪ টমেটোর গ্রাফটিং কলমের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করি। জমিতে টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত জমি থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে ৩০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। বর্তমানে জমিতে যে পরিমাণ টমেটো রয়েছে তাতে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে কয়েক লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবো। স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম জানান, খুব কম সময়ে খাইরুল আলম টমেটো চাষ করে যে সফলতা পেয়েছে তা আমাদের কাছে এখন অনুকরণীয়। তার টমেটো চাষ দেখে আমারও অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। তার মত আমরাও টমেটো চাষ করবো আশা করছি।
মঞ্জুর আলম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি খায়রুলের বাগানে গিয়েছিলাম। টমেটো কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় তিনি ১০ কেজি টমেটো কিনে নিয়ে এসেছি। উপজেলার কৃষি অফিসার মাহবুবুল হাসান বলেন, এখন অনেকেই তাদের আশাপাশের পতিত জমিতে টমেটোর চাষ করছেন। টমেটোতে অনেক বেশি গুণাগুণও রয়েছে। টমেটো চাষে খাইরুল আলমের এই যুগোপযোগী সিদ্ধান্তে আমরা অনেক খুশি হয়েছি। খাইরুল আলমকে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি তিনিসহ আরও যারা টমেটোর চাষাবাদ করেছেন তারা লাভবান হতে পারবেন।
জাগ্রত জয়পুরহাট