একই জমিতে তিন ফসল চাষে সফল মুজিবুর
জাগ্রত জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৩

একই জমিতে ক্যাপসিকাম, লেটুসপাতা ও সূর্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছেন ভৈরবের মুজিবুর রহমান। তিনি উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের সরকার বাড়ির বাসিন্দা। দীর্ঘ তিন বছর ধরে তার জমিতে ক্যাপসিকাম ও লেটুসপাতা চাষ করে আসছেন। এ বছর প্রথম সূর্যমুখী আবাদ করেছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার হাওর বেষ্টিত ইউনিয়ন সাদেকপুর। এ ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের মাঠের মাঝখানে যেন এক হলুদের সমারোহ। হাওরের বুক চিরে হলদে ফুলের সমাহার যেন মন মাতানো। গাছে গাছে হলুদ সূর্যমুখী ফুলের বাগানে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে মন চায়।
বিস্তীর্ণ সূর্যমুখী ফুলের হলদে দৃশ্যটি যে কারো মনকে আকৃষ্ট করে অনায়াসে। সারি সারি সূর্যমুখী গাছের ডগায় বড় বড় ফুল, যেন দিগন্তজুড়ে হলুদের সমারোহ। এর মাঝখানে ছোট ছোট ক্যাপসিকাম ও লেটুসপাতার গাছে পরিপূর্ণ একটি বিস্তীর্ণ এক মাঠ। এমন দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই পাশের এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করছেন।
সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ দৃশ্য যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। চারদিকে হলুদ ফুলের মন মাতানো ঘ্রাণ আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখর হয়ে উঠেছে ফসলি জমি। সূর্যমুখী ফুল মানুষকে শুধু আনন্দই দেয় না। দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা মেটাতে তেল হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেল উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের প্রণোদনাসহ উৎসাহ দিচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, মুজিবুর রহমান তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত। এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখে ৩০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম ও লেটুসপাতা চাষ করেছি। গত তিন বছর ধরে চাষ করে সফল হয়েছি। ক্যাপসিকাম ও লেটুসপাতা চাষে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে ১-২ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।’
তার এ সফলতা দেখে আশেপাশের উপজেলার কৃষকরা শিক্ষা নিচ্ছেন, কীভাবে চাইনিজ খাবারে ব্যবহৃত ক্যাপসিকাম ও লেটুসপাতা বাণিজিকভাবে চাষ করা যায়।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কম খরচে বেশি ফলনের আশায় এক জমিতে ৬০ শতাংশ জায়গায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী আবাদ করেছি। সূর্যমুখী চাষ করার পদ্ধতি মোটামুটি সহজ। প্রতি বিঘা জমিতে তিন কেজি বীজ, সামান্য সার ও কীটনাশক হলেই পর্যাপ্ত। সবকিছু মিলিয়ে খরচ হয় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। নামমাত্র খরচে সূর্যমূখী চাষ করা যায়।’
দর্শনার্থী মো. রবিন মিয়া বলেন, ‘একই জমিতে তিন ফসল দেখতে এ গ্রামে এসেছি। এ ধরনের কৃষিপণ্য চাষে দিন দিন কৃষকরা আগ্রাহী হয়ে উঠছেন। এই প্রথম ভৈরবে বাণিজিকভাবে ক্যাপসিকাম ও লেটুসপাতা চাষ হয়েছে। আজকেই প্রথমবার এ আবাদ দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।’
কয়েকজন শিক্ষার্থী সূর্যমুখী, ক্যাপসিকাম ও লেটুসপাতা চাষ দেখতে এসেছেন। তারা বলেন, ‘প্রথমবার ক্যাপসিকাম ও লেটুসপাতা চাষ দেখলাম। এ ব্যতিক্রম চাষ দেখে খুব আনন্দ পেয়েছি। চারদিকে হাওরের বুকে সূর্যমুখীর ফুলগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। আমরা বান্ধবীরা মিলে ছবি তুললাম।’
ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আকলিমা বেগম বলেন, ‘উপজেলার কৃষক মুজিবুর রহমান এক জমিতে ক্যাপসিকাম, লেটুসপাতা ও সূর্যমুখী আবাদ করে বেশ সফল হয়েছেন। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ৩০ শতক জমিতে ফাস্টফুডে ব্যবহৃত ক্যাপসিকাম, লেটুসপাতা চাষ দেখতে দর্শনার্থীরা প্রতিদিন ভিড় করছেন।’
এ ছাড়া প্রণোদনার আওতায় ভৈরবে শতাধিক কৃষক সূর্যমুখী চাষ করেছেন। উপজেলার ৭ ইউনিয়নে হাওরের জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখীর মধ্যে হাইসান-৩৩, আরডিএস ২৭৫ জাতের বীজ রোপণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘উপজেলায় মোট ৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছে। সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে নিয়মিত উঠান বৈঠকসহ মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

- অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
- শনিবার থেকে কাটা যাবে ঈদের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট
- বেকারমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার: হুইপ স্বপন
- যশোরে বড় হচ্ছে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প
- শেষ হলো পদ্মা সেতুর রেললাইন নির্মাণ কাজ
- এমপিদের জন্য নির্বাচনী পুরস্কার, এমপিও হচ্ছে ১০০ প্রতিষ্ঠান!
- বন্দর, সড়ক ও রেলপথ নির্মাণে জাইকার ঋণ
- রাজশাহীতে পান, আম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হবে সাতক্ষীরায়
- ঋণ বিতরণের শর্ত শিথিল হলো এসএমই খাতে
- পরপর দুই বারের বেশি সভাপতি হওয়া যাবে না
- দেশে পাঁচ বছরে বেকার ৭০ হাজার কমেছে
- একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকছে না ইউএনওদের
- ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ঝামেলামুক্ত সেবা দেয়ার নির্দেশ
- ইফতারের জন্য সাবুদানার পায়েস তৈরির রেসিপি
- বারি বেগুন-১২ চাষে স্বাবলম্বী শাওন!
- মেঘনায় ধরা পড়লো ৬ মণের শাপলা পাতা
- কলকাতায় মঞ্চ মাতাবেন সালমান
- দাউ দাউ করে জ্বলছে পুরো পাহাড়
- যেসব কারণে রোজার কাজা করতে হয়
- আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চমক
- নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল বিক্রির দায়ে আক্কেলপুরে ফার্মেসি মালিকের জেল
- কালাইয়ে ভুট্টা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে!
- শুক্রবার খুলছে মেট্রোরেলের আরও দুই স্টেশন
- সরকারি সফরে চীনে নৌপ্রধান
- পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে: প্রধানমন্ত্রী
- জয়পুরহাটে বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়ীতে মেয়ের অনশন
- স্পর্শকাতর সংবাদ নিয়ে সতর্ক থাকতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
- ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ কমছে
- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন মন্ত্রিসভার
- শিক্ষার্থীকে কান-মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা যাবে না
- জয়পুরহাটে মাসকলাই রুটি বেচে ভালোই সংসার চলছে মেহেদীর
- পাটের তৈরি প্লাজো, দাম ৭৮ হাজার!
- বিয়ের ১০ বছরে ৯ সন্তান, টানা এক দশক অন্তঃসত্ত্বা!
- জয়পুরহাটে সরিষার বাম্পার ফলনে প্রাণ ফিরেছে শতাধিক তেলকলে
- কাশ্মিরের পরতে পরতে সৌন্দর্য ছড়িয়েছে ‘ঝিলাম’
- নাসার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী চৈতী, বললেন— আমি গর্বিত
- পাঁচবিবিতে নাক বিহীন এক চোখ বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
- একই জমিতে তিন ফসল চাষে সফল মুজিবুর
- দুই পা হারালেও থামেননি অদম্য হানিফ
- জয়পুরহাটে ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
- জয়পুরহাটের যেসব দোকানে কেনা যাবে দেড় শ গ্রাম মাংসও
- গোসলের সময় প্রস্রাব করার অভ্যাস থাকলে বিপদ
- রমজানে যেসব গুনাহ ভুলেও করবেন না
- তিস্তার চরের মিষ্টি কুমড়া যাচ্ছে মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর
- দিনাজপুরে ২ মাথা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম!
- আক্কেলপুরে ৫০০ বছরের ঐতিহ্য গোপীনাথপুর মেলা অনুষ্ঠিত
- জয়পুরহাটে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- সম্ভাবনা তুলে ধরে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
- জামালপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ
- নাটোরে একটি মুরগি দিনে দুটি করে ডিম দিচ্ছে!
