• বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৭ ১৪৩০

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৪

জাগ্রত জয়পুরহাট

বারি বেগুন-১২ চাষে স্বাবলম্বী শাওন!

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩  

শিক্ষিত যুবক শাওন শেখ পলি মাচিং পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল বারি বেগুন-১২ চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তাকে দেখে অনেক সবজি চাষিরা অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন। এ পদ্ধতিতে চাষে খরচ কম ও ফলন ভালো পাওয়া যায়। ফলে বেকার যুবক ও চাষিদের মধ্যে ভালো সাড়া পাচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের দরি-রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শাওন শেখ। তিনি তার বাবার মরে যাওয়া পানের জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ১০ কাটা জমিতে পলি মাচিং পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল বারি বেগুন-১২ চাষ করার জন্য জমি প্রস্তুত করেন। এরপর তিনি খুলনার দৌলতপুর হটিকালচার সেন্টার হতে বেগুনের চারা ক্রয় করে তা রোপণ করেন। এই পলি মার্চিং পদ্ধতিতে বেগুনের চাষ করলে ক্ষেতে আগাছা জন্মে না, তাছাড়া সার কীটনাশক ও সেচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম লাগে। ফলে খরচ কম হয়।

শাওন শেখ বলেন, ক্ষেত থেকে বেগুন তুলতে শুরু করে দিয়েছি। এক একটি বেগুনের ওজন প্রায় এক থেকে দেড় কেজির মত। ১০ কাটা জমি থেকে প্রায় ৮০ মণ বেগুন পেয়েছি। সপ্তাহে তিনি ২ বার করে বেগুন কেটেছেন, সেই হিসাবে মাসে ৮ বার কাটা সম্ভব। এ পযন্ত তিনি প্রায় ৮০ মণ বেগুন তুলে বাজারে গড়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপ্ত কুমার ঘোষ বলেন, আমরা ক্ষেতে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, ইয়োলো ট্রাপ ও আলোক ফাঁদ ব্যবহার করেছি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য। এই তিন ফাঁদ ব্যবহার করলে রোগ বালাই কম হয়। তাছাড়া ওষুধ সার ও সেচ কম লাগায় উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কমে যাওয়ায় কৃষক লাভবান বেশি হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদিয়া সুলতানা ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, পলি মাচিং পদ্ধতিতে উচ্চফলনশীল বারি বেগুন-১২ চাষ করে কৃষকরা অপেক্ষাকৃত বেশি লাভবান হন। এই বেগুনের চাষ করলে উৎপাদন খরচ অনেকটা কম হয়। এজন্য আমরা কৃষকদের নানাধরনের প্রশিক্ষন ও সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করছি। এই উচ্চফলনশীল বেগুন-১২ চাষ করলে হেক্টর প্রতি গড়ে প্রায় ৫৫-৬০ মন বেগুন উৎপাদন করা সম্ভব হয়।

জাগ্রত জয়পুরহাট
জাগ্রত জয়পুরহাট