সোমবার   ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ || ২৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২৪ মে ২০২৩

২২ জাতের আঙুর চাষে সফলতার দ্বারপ্রান্তে রুহুল আমিন!

২২ জাতের আঙুর চাষে সফলতার দ্বারপ্রান্তে রুহুল আমিন!

কুড়িগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষে কৃষি উদ্যোক্তা রুহুল আমিন সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌছেছেন। তিনি রাশিয়া, ইউক্রেন ও বিভিন্ন দেশের উন্নত জাতের আঙুর বীজ সংগ্রহ করে তার বাগানে চাষ করছেন। তার বাগানে প্রায় ২২ জাতের আঙুর রয়েছে। এবছর কিছু কিছু গাছে ফলন আসলেও আগামীতে সবগুলো গাছে ফলন আসবে। এতে এই জেলার আঙুরের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।

জানা যায়, কৃষি উদ্যোক্তা রুহুল আমিন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার গঙ্গার হাটের বাসিন্দা। তিনি গত ২ বছর আগে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত জাতের আঙুরের চারা সংগ্রহ করেন। তারপর বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার বাগানে বাইকুনর, গ্রীণলং, একেলো সহ প্রায় ২২ জাতের আঙুরের গাছ রয়েছে। এইসব আঙুরগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। দেশে প্রতিবছর এই আঙুরগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আমদানিকৃত ফলের মতো স্বাদ হওয়ায় মিলছে সফলতা। এতে আমদানি নির্ভরতা কমবে পাশাপাশি চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ৪৭ হাজার ৩০২ হেক্টর জমি রয়েছে যা আঙুর চাষের জন্য উপযুক্ত। জেলার ফুলবাড়ী ও সদর উপজেলায় ৩ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আঙ্গুর চাষ হয়েছে। এতে চাষি সফলতা পেতে শুরু করেছেন।

আঙ্গুর চাষি রুহুল আমিন বলেন, আমি গত ২ বছর আগে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আঙুরের চারা সংগ্রহ করি। সংগ্রহের পর জমিতে রোপণ করেছি। এর চাষে বিদেশিদের চাষ পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। গত বছর অল্প কিছু ফলন পেলেও এবার তার থেকে বেশি ফলন পেয়েছি। আশা করছি আগামী বছর সবগুলো গাছেই ফলন আসবে এবং এই জেলার আঙুরের চাহিদা অনেকাংশেই পূরণে সক্ষম হতে পারবো।

এদিকে স্থানীয় ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্যান্য চাষিরা এর চাষের জন্য আগ্রহী হয়েছেন। এই জেলায় এটাই প্রথম আঙুরের বাগান। নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে এর চাষ বেশি সাড়া ফেলেছে। ফলে রুহুল আমিনের বাগানে প্রতিদিন মানুষ ভীড় করছে।

বাগান দেখতে আসা উদ্যোক্তা আবু রায়হান ফারুক বলেন, আমি রুহুল আমিন চারা সংগ্রহ করে রোপন করেছিলাম। এখন আমার অনেক গাছেই ফল আসা শুরু করেছে। আঙুরের জাত খুব ভাল। এর স্বাদ খুব মিষ্টি ও রসালো। আমার মতো আরো অনেক উদ্যোক্তা যদি এর চাষ শুরু করে তাহলে আমদানি নির্ভরতা কবে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিল্পব কুমার মোহন্ত বলেন, আঙুর একটি সারাবছর চাহিদা পূর্ণ একটি ফল। সারা বছর এর চাহিদা থাকায় বিপুল পরিমানে জোগান দিতে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বর্তমানে আমাদের জেলায় কয়েকজন উদ্যোক্তা আঙুরের চাষ করছেন। এর চাষে ফলনও পাচ্ছেন। আশা করছি তারা সফল হলে আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমবে।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শিরোনাম

পাঁচবিবিতে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিতযুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলন আজ, অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশজাতীয় নির্বাচনের আসনভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশনির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ভারত, জাপান ও ফিলিস্তিনবন্ধ হচ্ছে গুগল পডকাস্টভাইরাল এসএসসি পরীক্ষার রুটিন নিয়ে যা বলল শিক্ষা বোর্ডদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আপিল শুনানি শুরু আজপাঁচবিবিতে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিতকালাইয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিতউন্নতি করতে নয়, জিততে এসেছিঃ শান্তডিম পাড়বে বিরল কচ্ছপ, তাই মিসাইল পরীক্ষা স্থগিতআজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসজয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিতশিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না থাকে সেটি নিশ্চিত করতে চাইঃ দীপু মনিক্ষতিকারক যেসব অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে ডিলিট করল গুগলসায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন আজবিনামূল্যে স্কুল চালিয়ে শিক্ষক পেলেন ১০ কোটি টাকা পুরস্কারআন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আজ