শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২২ আগস্ট ২০২১

বহেড়ার কিছু ঔষধি গুনাগুন

বহেড়ার কিছু ঔষধি গুনাগুন

ত্রিফলার অন্যতম ফল বহেড়া। লোকশ্রুতি আছে বহেড়া ভেজানো এক কাপ পরিমান পানি নিয়মিত পান করলে দীর্ঘায়ু হওয়া যায়। সদীর্ঘ্কাল ধরে এর বীজ, ফল, বাকল প্রভৃতি নানা রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে।

আসুন এই অনন্যসাধারণ কিছু গুণ জেনে নেয়া যাক

হজমশক্তি বাড়াতে :

 

বহেড়া হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক। ফলের খোসা ভালো করে গুড়ো করে নিন। পানির সঙ্গে গুড়া  দিনে দুবার খেয়ে যান। ক্ষুধামন্দ্য তাড়াতেও একই প্রণালি অনুসরণ করতে পারেন।

স্লেষ্মা নিরাময়ে :

 

প্রথমে বহেড়া পিষে নিন। এর সঙ্গে গরম ঘি মিশিয়ে আবার গরম ঘি আবার গরম করে নিন শেয়ে মধু দিয়ে খেয়ে ফেলুন। পাশাপাশি সর্দি কাশি তাড়াতে বেশ উপকারে আসে।

আমাশয় থেকে দূরে থাকতে :

 

আমাশয়ে ভুগছেন? তাহলে প্রতিদিন সকালে বহেড়ার গুড়ো মেশানো পানি খেয়ে যান উপকার পাবেন।

হাপানি থেকে মুক্তি পেতে :

 

বহেড়া বীজের শাঁস ঘন্টা অন্তর চিবিয়ে খেলে হাপানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ্ অনুযায়ী পদ্ধতি মেনে চলুন।

কৃমি নাশ করে :

 

পেটে কৃমি হয়েছে? হাতের কাছে সমাধান হিসেবে বহেড়া রয়েছে।

ডায়রিয়া প্রতিকারে :

 

ডায়রিয়া হলে বহেড়ার খোসা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। অল্প মাত্রায় খেলে এর কোন  পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। তবে ডাক্তারের পরামর্শ্ মেনে খাওয়া উচিত।

অনিদ্রা রোগে :

 

রাতের পর রাত নিরঘুম কেটে যায়। এখন থেকে চমৎকার ঘুমের জন্য বহেড়া খেয়ে যান। ঘুমের সমস্যার সমাধান হবে।

ফোলা কমাতে :

 

শরীরের কোন অংশ ফুলে গেছে এবং ব্যাথা লাগছে ? এবার তাহলে বহেড়ার ছাল বেটে নিন। একটু গরম করে ছাল দিয়ে ফুলে যাওয়া স্থানে প্রলেপ দিন ব্যাথা ফোলা কমে যাবে।

শ্বেতি থেকে বাঁচতে :

 

বহেড়ার বিচির শাঁসে তেল থাকে।  তেল দিয়ে শ্বেতি স্থানে প্রলেপ দেয়া যেতে পারে। আশঅ করা যায়, অল্প দিনের মধ্য রঙ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

চুল পাকা প্রতিরোধে :

 

১০ গ্রাম পরিমাণ বহেড়ার ছাল পানি মিশিয়ে থেতো করে নিন। থেতলানো বস্তু এক কাপ পানিতে ছেকে নিন। এবার পানিটুকু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তবে পদ্ধতি সম্পর্কে খুব একটা নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়  না।

বিবিধ ব্যবহার :

 

বহেড়ার কাঠ বেশ শক্তপোক্ত। কাঠ সহজে পানিতে পচে না। কারণে নৌকা তৈরিতে বহেড়ার কাঠ ব্যবহার দেখা যায়।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়