মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ || ১ আশ্বিন ১৪৩১

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত : ১৮:২৪, ২৯ জুলাই ২০২৪

প্রবল তাপপ্রবাহে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা কাশ্মীরে!

প্রবল তাপপ্রবাহে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা কাশ্মীরে!
সংগৃহীত

উষ্ণায়নের প্রভাবে কাশ্মীরে এখন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা হচ্ছে। তাপপ্রবাহের ফলে ঝিলম নদীর পানির স্তর কমছে। ধানের জমি, সবজির জমি শুকিয়ে গেছে।

কাশ্মীরের তাপমাত্রা উঠেছে ৩৬ ডিগ্রি। ২৫ বছর পর সেখানে এমন গরম পড়ল। এখানকার মানুষ গরমে অতিষ্ঠ- এটা ভাবা যায় না। কিন্তু বাস্তবে এটাই হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে কাশ্মীরের মানুষ বিপর্যস্ত।

গরমের সময় কাশ্মীরের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির বেশি ওঠে না। যার ফলে সেখানে এসি ও ফ্যানের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সেই কাশ্মীরে তাপমাত্রা এতটা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

কাশ্মীরের উদ্যানপালন বিভাগ থেকে নির্দেশনা জারি থেকে জানা যায়, কাশ্মীরের আপেল, আখরোটসহ বিভিন্ন বাগানের মালিক ও কর্মীদের সচেতন বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ গরমে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে- আপেল-আখরোটসহ অন্যান্য বাগান বাঁচানোর জন্য। যদি সেচ দেওয়ার সুবিধা থাকে, তাহলে অবিলম্বে যেন বাগানে সেচ দেওয়া হয়। গাছের গোড়ায় আর্দ্রতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্চ-এপ্রিলে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর বৃষ্টি হয়নি। তার জন্য গাছে পানি প্রয়োজন। একটা আপেলের ৮৬ শতাংশই পানি। তাই গাছ পানি না পেলে গাছের ফল ভালো হবে না। এখন পানি না পেলে আপেল উৎপাদন কম হবে। ড্রাই ফ্রুটের ক্ষেত্রেও পোকা লেগে যাবে।

কাশ্মীর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ চলছে। আগামী দিনগেুলোতে অল্পস্বল্প বৃষ্টি হতে পারে। আগস্ট মাস পর্যন্ত সামান্য স্বস্তি হতে পারে। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা এখনই নেই।

গরম ঘিরে কাশ্মীরে এখন স্কুল ছুটি দেওয়ার দাবি উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী দুই দিন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। তাছাড়া বাকি বাচ্চাদের স্কুল শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

এই নির্দেশ নিয়েও সামাজিক মাধ্যমে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। বাচ্চারা এত তাড়াতাড়ি স্কুলে যেতে পারবে কিনা, সেজন্য অত সকালে উঠলে তাদের শরীর খারাপ হবে কিনা- সে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তবে কাশ্মীরে শীতের সময় দীর্ঘ ছুটি থাকে। তার উপর গরমের ছুটি দিতে হলে বাচ্চারা কতদিন স্কুল করতে পারবে, সে প্রশ্নও উঠছে।

সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দুপুরে বাচ্চা ও বয়স্করা যেন রোদে বের না হন। বের হলে যেন ছাতা নিয়ে বেরোন। প্রচুর জল খান।

কাশ্মীরের শ্রীনগরে আবহাওয়া অফিসের প্রধান সোনাম লোটাস জানিয়েছেন, ‘যখন দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি না হয়, তখন এরকম অবস্থা হয়। তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং তা সহজে কমে না। এই তাপপ্রবাহ এবার কাশ্মীরে দেখা যাচ্ছে।’ এটা আরও কয়েক দিন চলবে। তারপর হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শের ই কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তাসনিম মুবারক ডাউন টু আর্থকে জানিয়েছেন, ‘তাপপ্রবাহ বুঝিয়ে দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কী রকমভাবে পড়ছে। এই তাপপ্রবাহের প্রভাব আপেলের আকার ও রঙের উপর পড়বে।’

সূত্র: জাগো নিউজ ২৪

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ