শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৩:১৮, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

জয়পুরহাটে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস বিক্রি

জয়পুরহাটে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস বিক্রি

জয়পুরহাট বনবিভাগ পরিবেশের ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস গাছ উৎপাদন, বনায়ন বিতরণ ও বিক্রি বন্ধ করে দেয় গত ২০১৪ সালের শেষের দিকে। কিন্তু তাতে কি ইউক্যালিপটাস বৃক্ষ উৎপাদন বন্ধ নেই। বরং জেলা থেকে উপজেলা ছাড়িয়ে এখন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নিরবে উৎপাদন, বিক্রি ও বনায়ন করে চলেছে ইউক্যালিপটাস চারা গাছ বেসরকারি নার্সারি মালিকরা। অথচ ২০০৮ সালে সরকার পরিবেশের ক্ষতির কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ করে এই গাছটি।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলার বনবিভাগ কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, ইউক্যালিপটাস চারা উৎপাদন বিক্রি ও বানায়ন করা যাবেনা এমন কোন সু-নির্দিষ্ট আইন ফরেস্ট ম্যানুয়ালে নেই। এমনকি ফরেস্ট গবেষণার উচ্চ পর্যায় থেকেও এ গবেষণামূলক কোন তথ্য দেয়া হয়নি। তবে সরকার যেহেতু নিষিদ্ধ করেছে সেক্ষেত্রে এই চারা উৎপাদন, বিক্রি ও বনায়নের ক্ষেত্রে আমরা সবাইকে নিরুৎসাহী করছি।

এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. সুনীল কুমার কুন্ডু বলেন, অতিরিক্ত পানি শোষণের কারণে ইউক্যালিপটাসকে পরিবেশের বিরূপ গাছ বলা হয়। তবে দ্রুত বেশি টাকা হাতে আসে বলে এ গাছ রোপণে আগ্রহী মানুষ। জয়পুরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের মহাসড়ক জুড়ে ইউক্যালিপটাস গাছের ব্যাপক উপস্থিতি এর প্রমাণ মেলে। উদ্ভিদবিদরা জানান, আশির দশকে দেশে এ গাছের প্রসার ঘটে।

এটি মূলত মরু অঞ্চলের গাছ। গাছটি মাটি থেকে বেশি পানি ও খাবার শোষণ করে। জয়পুরহাট সরকারি ডিগ্রী কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের প্রভাষক তৌফিকুর রহমান সরকার বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের জন্য দায়ী করা হয় ইউক্যালিপটাসকে। চাহিদা দাম ও জ্বালানি হিসেবে যতই ভাল হোক না কেন সর্বোপরি মানুষ ও পরিবেশের ভারসাম্যের কথা চিন্তা করে সরকার এই বৃক্ষকে ২০০৮ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে বাস্তবে দেশব্যাপী ক্ষতিকর এ গাছের চারা উৎপাদন, বিপণন ও বনায়ন মূলোৎপাটন করবে এমনটাই আশাবাদী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সচেতন মহল।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়