শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ১ আগস্ট ২০২১

ক্ষেতলালে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ ঢাকায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি, স্বামী আটক

ক্ষেতলালে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ ঢাকায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি, স্বামী আটক

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্বরোচিত নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার উৎপত্তি; বললেন স্থানীয়’রা। জানা গেছে, জয়পুরহাটের বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সবুর সরদার তার মেয়ে মঞ্জিলা খাতুন (২৮) কে পাঁচ বছর পূর্বে ক্ষেতলাল উপজেলার রোয়াইর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে শারফুল ইসলাম রনি (৩২) এর সাথে বিয়ে দেন।

মঞ্জিলা খাতুনের বাবা আব্দুস সবুর বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ে মঞ্জিলা খাতুন এর প্রতি জামাই কারণে-অকারণে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল। আমরা একাধিকবার সতর্ক করার পরও জামাই ঐরূপ আচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ২৬ জুলাই (সোমবার) দুপুর ১টায় তুচ্ছ এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার মেয়ে মঞ্জিলা খাতুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরের দরজা বন্ধ করে শারীরিক নির্যাতন করে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। ফলে, তার কোমর থেকে মুখ পর্যন্ত ও দুই হাত পুড়ে যায়।

তার আত্মচিৎ শুনে রনির বড়ভাই আরিফুল  ইসলাম ও একই গ্রামের মীর বক্স এর ছেলে খয়বর আলী ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙে মঞ্জিলা খাতুনকে উদ্ধার করে দ্রুত সজিমেক এ নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে তাকে স্থানান্তর করেন। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন গৃহবধূ মঞ্জিলা খাতুন। এবিষয়ে মঞ্জিলার বাবা বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, মামলার বাদীর মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে মঞ্জিলার দুলাভাই পরিচয় দিয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রামের আব্দুল মতিন মন্ডলের ছেলে শাহীন। তিনি  প্রতিবেক’কে বলেন- ঘটনাস্থলে আমরা উপস্থিত ছিলাম না, স্থানীয়দের বিবরণ অনুসারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুরুতর আহত মঞ্জিলা খাতুন কথা বলার অবস্থায় না থাকায় তার মূখে কিছু শুনতে পারিনি।

ঈদ পরবর্তীতে জামাই শারফুল ইসলাম রনি শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে তার বাড়িতে আসার জন্য দাওয়াত করেন। জমি কটকবলা ও টাকা পয়সার লেনদেন বিষয় নিয়ে মনমালিন্য হওয়ায়, জামাইয়ের বাড়িতে আসেন নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এক পর্যায়ে গৃহবধূর আত্মচিৎকার শুনে এবং ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে আমরা ছুটে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে, পুড়ে যাওয়া অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করি- বলছেন প্রত্যক্ষদর্শী।

ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল’ বলেন- এবিষয়ে মেয়ের বাবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে এবং আমরা অভিযান চালিয়ে আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়