বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:২১, ২৩ আগস্ট ২০২১

জয়পুরহাটে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উদ্যোগ

জয়পুরহাটে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উদ্যোগ

তিত বেগুনের সাথে  গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে সফলতার দ্বার প্রান্তে এখন জয়পুরহাটের স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’র কৃষি ইউনিট। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা।

জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি ইউনিটের প্রধান কৃষিবিদ ওবাইদুল ইসলাম জানান, আবহাওয়ার কারণে এ অঞ্চলের মাটিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ সম্ভব হয়না। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও ভাইরাসের আক্রমণে টমেটোর  ফুল আসার আগেই টমেটোর গাছ নষ্ট হয়ে যায়। যা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে বড় অন্তরায় হয়ে দেখা দেয়।

 এসব অন্তরায় গুলো মাথায় নিয়ে জাকস ফাউন্ডশনের  কৃষি ইউনিটের সদস্যরা  তিত বেগুনের সাথে গ্রাফটিং করে। পর্যবেক্ষণে ভালো ফলাফল পাওয়ায় জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আগাইর গ্রামের কৃষক কখীল চন্দ্রের ১০ শতাংশ জমিতে এবার প্রদর্শনী হিসেবে ওই টমেটোর চারা লাগানো হয়েছে। পলিথিন দিয়ে সেড তৈরি করে মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

মালচিং ব্যবহারের ফলে মাটির আদ্রতা রক্ষার পাশাপাশি অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে গাছ রক্ষা পায়। আবার বৃষ্টির পানি থেকেও রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে পলি সেড। টমেটোর জাত হচ্ছে বারি ৪ ও ৮। বর্তমানে দেখা যায় টমেটোর গাছে  ভাইরাসের কোন আক্রমণ হয়নি। টমেটোর গাছে গাছে ফুল ধরেছে।  টমেটোর গাছের ফুল কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে আনন্দ। ভালো ফলন পাওয়ার আশায় দেখছেন স্বপ্ন। 

জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন বলেন, টমেটো শীতকালীন ফসল হলেও গ্রীষ্মকালে অনেক চাহিদা থাকে। পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উদ্যোগ নেওয়া হযেছে। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাহিদা পূরণ, ভালো ফলন পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশার কথা জানান, টমেটো চাষি কখীল চন্দ্র।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ স ম মেফতাহুল বারি জানান, এখানকার মাটি গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উপযোগী নয়, তারপরেও গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে ’জাকস ফাউন্ডেশন’ গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে কৃষকরা উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ