শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১০:৩২, ১৬ জানুয়ারি ২০২২

ইঞ্জিনিয়ার হয়েও একজন সফল উদ্যোক্তা জয়পুরহাটের তৌহিদ

ইঞ্জিনিয়ার হয়েও একজন সফল উদ্যোক্তা জয়পুরহাটের তৌহিদ

মা-বাবার একমাত্র সন্তান তৌহিদ হাসান। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে অবশেষে আদি পেশা কৃষি কাজকেই বেছে নেয় তিনি।ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে প্রথমে কিছুদিন ঢাকায় চাকরিও করেন তৌহিদ। কিন্ত চাকরি ছেড়ে অবশেষে বাবা আর শ্রমিকদের সঙে নিজেদের জমিতে ফসল উৎপাদন আর পুকুরে মাছ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

এমন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত তরুন যুবক কৃষি ও মৎস্য দফতরে দক্ষ এবং সফল উদোগ্যতা তৌহিদ হাসানের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই গ্রামে।হারুন-উর-রশিদ ও আমেনা বিবি দম্পতির একমাত্র সন্তান তৌহিদ হাসান। বাবার সঙ্গে মাঠে যোগ দেওয়ার আগে সে ২০১৪ সালে জয়পুরহাট যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে আধুনিক পদ্ধতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের জমিতে প্রায় সকল প্রকারের শাক-সবজি, ধান ও আলু চাষ এবং পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে প্রথমেই সফল হন তিনি। এরপর থেকে আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।লেখাপড়া শেষে চাকরির পিছনে না দৌড়ে কৃষি ও মৎস্য চাষে সফল তিনি। এসব থেকে প্রতিবছর তার আয় হয় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা।তার এমন সফলতার পথে এলাকার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরাও পথচলা শুরু করছেন। যুব উন্নয়ন কেন্দ্র ও এলাকার মডেল এখন তিনি।

তৌহিদ হাসানের জমিতে দেশি-বিদেশি বেগুন, মরিচ, বাঁধা ও ফুল কপি, টমেটো, করলা, শিম ও লাউসহ শীতকালীন বিভিন্ন রকমের সবজিতে ভরপুর।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন শ্রমিকসহ আলুর খেতে পরির্চচা করতে। দেখা যায় শ্রমিকের কাজ করে অনেকেই সংসার চালাচ্ছেন। পরবর্তীতে গরু ও মুরগীর ফার্ম করে এলাকার শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে জানান তিনি।

তৌহিদের বাবা বলেন, ছেলেকে অনেক টাকা খরচ করে লেখাপড়া করালাম ভালো চাকরির আশায়। ছেলে কিছুদিন ঢাকায় চাকরিও করল। এখন কিনা চাকরি ছেড়ে বাড়ি এসে আমার সঙ্গে জমিতে কৃষি কাজ ও মাছ চাষ করছে।চাকরি ছেড়ে এসব করায় প্রথমে মন খারাপ হলেও এখন ভালো লাগে ছেলের এসব কাজ দেখে। চাকরি না করেও যে টাকা উপার্জন করা যায় তাই প্রমাণ করল ছেলে।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়