শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১৯ মে ২০২২

জয়পুরহাটে কৃষক পর্যায়ে মানসম্মত ধান বীজ সংরক্ষণ

জয়পুরহাটে কৃষক পর্যায়ে মানসম্মত ধান বীজ সংরক্ষণ

কৃষক পর্যায়ে মানসম্মত উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রী ধান-৮১ জাতের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষেণের জন্য উপকরণ সরবরাহসহ কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’। জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি ইউনিটের কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন শাহীন জানান,  মানসম্মত বীজ মানেই অধিক ফসল উৎপাদন।

কৃষকরা যাতে নিজের সংরক্ষিত মানসম্মত বীজ ব্যবহার করে অধিক ফসল চাষ করতে পারে সেই লক্ষ্যে নিজেদের ধান বীজ নিজেরা মানসম্মত ভাবে সংরক্ষণ করার জন্য কৃষকদের দুদিনের বীজ সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বীজ সংরক্ষণের জন্য  উপকরণ হিসেবে ৩টি প্লাস্টিক ড্রাম, ২টি টিনের ড্রাম, মাটির কলসি প্রদান করা হয়। ড্রামের মধ্যে ধান বীজ সংরক্ষণের সময় জৈব পদ্ধতি হিসেবে বীজকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে  তামাক পাতা বা নিম পাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ব্রী ধান-৮১ জাতের বীজ উৎপাদনের জন্য জমিতে পূর্বে পরিমিত জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছে । পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল বাকিলা গ্রাম ঘুরে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই গ্রামের ২০ জন কৃষক এবার উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রী ধান-৮১ জাতের বীজ সংরক্ষণ উপর কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ব্রী ধান-৮১ জাতের বীজ ধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়া ও ঝড়-বৃষ্টিতে হেলে পড়েনা আবার বিঘা প্রতি ফলন হয় ২৩ থেকে ২৫ মণ ধান। 

বাকিলা গ্রামের বীজ উৎপাদনকারী চাষি  ইলিয়াস হোসেন জানান,  ২৫ শতাংশ জমিতে এবার ব্রী ধান -৮১ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ চাষ করছেন, একই এলাকার কৃষক  তোফাজ্জল হোসেন ২০ শতাংশ, শাখাওয়াত হোসেন ২০ শতাংশ জমিতে ব্রী ধান-৮১ জাতের বীজ উৎপাদন করছেন। জাকস ফাউন্ডেশনের দেওয়া ড্রামে প্রতিজন কৃষক ১৬০ কেজি বীজ সংরক্ষণ করতে পারবেন বলে জানান, কৃষি ইউনিটের কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন শাহীন।

উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রী ধান-৮১ বীজ বোরো ধান চাষ মৌসুমে কৃষকরা নিজের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ব্যবহারের পাশাপাশি  বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারবেন বলে জানান, জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন। গ্রামীণ পর্যায়ে কৃষকরা উন্নতমানের ধান বীজ সংরক্ষণ করছে এঁটা  ভ ালো দিক। এতে করে বাজারের যেন তেন বীজ কিনে কৃষকদের আর প্রত্যারনার শিকার হতে হবে না। এ ধান বীজে ফলনও ভালো হবে এমন প্রত্যাশার কথা জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম।  

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ