শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

আক্কেলপুরে বেড়েছে নারিকেল ও গুড়ের কদর

আক্কেলপুরে বেড়েছে নারিকেল ও গুড়ের কদর

সনাতন ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পূজা। পূজায় প্রতিটি বাড়িতেই অতিথি আপ্যায়ন হয় নাড়ু দিয়ে। নাড়ু তৈরির প্রধান উপকরণ হলো নারিকেল, গুড় অথবা চিনি। এরই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় আসন্ন দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে বেড়েছে নারিকেল, গুড়ের কদর।

আগামী মাসের ১লা অক্টোবর থেকে শুরু হবে দুর্গা পূজা ও শেষ হবে ৫ই অক্টোবর দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে। পূজার এই ৫ দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি বাড়িতে জামাই থেকে শুরু করে সকল অতিথি আপ্যায়ন হয় হরেক রকমের নাড়ু, মুড়ি, মুড়কি সহ নানা মিষ্টান্ন দিয়ে।

আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন নারিকেল। বাজারে  প্রতিজোড়া নাড়িকেল বিক্রয় হচ্ছে প্রকার ভেদে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। গুড়ও বিক্রিয় হচ্ছে পর্যাপ্ত। প্রতি কেজি গুড় বিক্রয় হচ্ছে ১০০’শ টাকা থেকে ১’শ২০ টাকায়। প্রতি কেজি চিনি বিক্রয় হচ্ছে ৯০ টাকায়। তবে পাইকারী নারিকেলের দোকানে পর্যাপ্ত বিক্রি থাকলেও খুচরো দোকানে কমেছে নারিকেলের বিক্রি। তবে পূজা উপলক্ষে  প্রতিটি নারিকেল ও গুড়ের দোকানেই কমবেশি ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। 

বাজারে নারিকেল কিনতে আসা জয় কুমার পন্ডিত বলেন,‘ অন্য বছরের তুলনায় এবছর নারিকেলের দাম বেশি। পূজায় অনেক অতিথি সমাগম বাসায়। তাদের আপ্যায়ন করতে আমরা বিভিন্ন ধরণের নাডু পরিবেশন করি। তাই নারিকেল বেশি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে। গুড়ের দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।’ ভ্যানচালক এক নারিকেল ক্রেতা বলেন, ‘সারা বছর নারিকেল না কিনলেও পূজায় নারিকেল কিনতে হয়। এবার দাম বেশি হওয়ায় নারিকেল কম কিনেছি। পূজাতে বাসায় নাড়ু করতে করতে হয়, ছেলে-মেয়েরা আছে তারা নাড়ুর জন্য জেদ ধরেছে। তাই বাধ্য হয়ে কিনলাম।

বাজারে নিয়মিত খুচরো নারিকেল বিক্রেতা রতন হোসেন বলেন, ‘বাজারে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সংখ্যা পূজা উপলক্ষে বেড়ে গেছে। এর প্রভার বাজারে পড়েছে। এবছর নারিকেলের দামও একটু বেশি। তারপরেও বছরের অন্য সময়ের তুলনায় পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কম বেশি নারিকেল কিনছেন।’ 

আক্কেলপুর  কলেজ বাজারের পাইকারী নারিকেল ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, পূজা উপলক্ষে নারিকেল পর্যাপ্ত পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। এবছর ডাবের দাম বেশি থাকায় এর প্রভাব নারিকেলের উপর পরেছে।  তাই অন্য বছরের তুলনায় এবছর নারিকেলের দাম একটু বেশি। বাজারের এক গুড় বিক্রেতা জানান, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে পূজার সময় গুড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। কারণ পূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন গুড় দিয়ে নাড়ু সহ নানা ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করে।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়