শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:২০, ৯ ডিসেম্বর ২০২২

জয়পুরহাটে কমলা চাষে ইমরানের সফলতা, আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে

জয়পুরহাটে কমলা চাষে ইমরানের সফলতা, আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কমলার চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন উজ্জ্বল। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় তার দেখাদেখি অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এই চাষে। বর্তমানে গাছে গাছে কমলাও ধরেছে থোকায় থোকায়। পুরো বাগান হলুদে চেয়ে গেছে, যা নজর কাড়ছে সাধারণ মানুষের।

এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, এই কমলা চাষে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ভিকনী গ্রামের ইমরান হোসেন উজ্জ্বল ছিলেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। করোনার সময় ব্যবসায় মন্দার কারণে পরিবার নিয়ে কাটছিল তার কষ্টের জীবন। সে সময় ইন্টারনেট দেখে বাড়িতে পরীক্ষামূলক একটি কমলার চারা রোপণ করেন তিনি। পরে সেই গাছে কমলা ধরে। সেই কমলার গুণগতমান ভাল ও সুস্বাদু হওয়ায় তিনি নিজেই বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ করার চিন্তা করেন। এরপর নিজ মেধা ও উদ্যোগে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত এক বিঘা জমিতে রোপণ করেন ১০০টি কমলার চারা। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

বর্তমানে তার বাগান ভরে গেছে হলুদ রঙের কমলায়। যা নজর কাড়ছে মানুষের। এক বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। এই একবার খরচ থেকেই তিনি প্রতিবছর এক লাখ টাকারও বেশি কমলা বিক্রি করতে পারবেন। যা প্রতিবছর বাড়তে থাকবে। একটি কমলা গাছ ফলন দেবে ৩০ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত।

ইমরান হোসেন বলেন, করোনার সময় ব্যবসায় লোকশান গুনে কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। সেসময় অনলাইন ঘটাঘাটি করে দেখলাম সাইট্রাস জাতের কমলার বাগান করা যায়। এরপর বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে কমলার চারা রোপণ করি। এখন আমার বাগানে অনেক ভাল ফলন হয়েছে। অনেকেই বাগান দেখতে আসছেন, ফলও কিনছেন অনেকে। বাজারে দুইশ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হলেও আমি দেড়শ টাকা কেজি দরে কমলা বিক্রি করছি। অনেকে চারাও কিনতে আসছেন। ভবিষ্যতে বাগান বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে। এই কমলা অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় অনেকে আসছেন এখানকার কমলা কিনতে। অনেকে আবার আগ্রহী হচ্ছেন এমন বাগান গড়ে তোলার।

গ্রামবাসী আব্দুল জলিল বলেন, ইমরান যখন এই বাগান করেন, তখন ফল আসবে না বলে অনেকেই তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। এখন হলুদ হলুদ কমলা ধরায় সবাই অবাক হয়ে গেছে। আব্দুর রাজ্জাক নামে ব্যক্তি বলেন, এই বাগানটি দেখতে এসেছিলাম, দেখে অনেক সুন্দর লাগলো। বাগান মালিক আমাকে একটা কমলা খাইয়েছেন, খুব স্বাদ লেগেছে। তাই আমার পরিবারের জন্য দুই কেজি কমলা কিনেছি।

আতিয়ার রহমান নামে একজন বলেন, এই বাগানের কমলা খেয়ে আমার খুব ভাল লেগেছে। আমার ইচ্ছা আছে এমন একটি বাগান করার। এ বিষয়ে আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন উজ্জ্বল যে ফলন পাচ্ছেন তা অবাক করার মতো। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ