শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:০৯, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

জয়পুরহাটে কমলা চাষ করে সফল ইমরান-সুমি দম্পতি

জয়পুরহাটে কমলা চাষ করে সফল ইমরান-সুমি দম্পতি

কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন ইমরান হোসেন ও সুমি আক্তার। কমলা চাষ করে তারা এখন সফল ফলচাষি। মাত্র তিন বছরে পেয়েছেন অভাবনীয় সাফল্য। সারি সারি গাছের ডালগুলো রঙিন কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। তাদের চাষ পদ্ধতি, তাদের সফলতা ও তাদের কমলার বাগান দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে বিভিন্ন এলাকার ফলচাষিরা। ফলন ভালো দেখে অনেকেই তাদের বাগান থেকে কমলার চারা কিনছেন। অনেকে গাছ থেকে সদ্য পারা কমলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার ভিকনি গ্রামের ইমরান হোসেন উজ্জ্বল ঢাকার সাভারে থাকতেন। সেখানে তার একটি টেলিকমের দোকান ছিল। করোনার সময় ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। এরপর তিনি চলে আসেন নিজের গ্রাম ভিকনিতে। নিজেই পরিকল্পনা করে তার ২০ কাঠা জমিতে রোপণ করেন কয়েকটি বারি কমলা-২ জাতের কমলার চারা। সেই চারাগুলো থেকে গ্রাফটিং করে চারার সংখ্যা আরো বাড়িয়ে তোলেন। এখন তার বাগানে ১৩০টি কমলার গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ১৫-৪০ কেজি পর্যন্ত কমলা ধরছে। প্রতি কেজি কমলা পাইকারি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি।

ইমরান হোসেন বলেন, ইউটিউব টেলিভিশন দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ হই কমলা চাষে। ২০২০ সালে প্রথম আমি কমলার চারা রোপণ করি। প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে আমার। আশা করছি, এ বছর কমপক্ষে ৩০ মণ কমলা বিক্রি হবে। আমার বাগানের কমলা খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। গাছে কলম তৈরি করে বিক্রি করছি।

ইমরানের স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, আমরা দু’জনই দিনরাত পরিশ্রম করছি। অনেকে নিরুৎসাহিত করেছে। অনেকে বলেছেন ফল হবে না। ফল হলেও টক হবে। ইত্যাদি। আমরা হাল ছাড়িনি। আক্কেলপুর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইমরান হোসেন জানান, কমলা সাইট্রাস জাতীয় ফল। এটি পাহাড়ে হয়। কিন্তু এখন এটি সমতলেও হচ্ছে। অনেক বেকার যুবক চাইলে কমলা চাষ করতে পারেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কমলার চারা প্রদান, সার, কীটনাশক ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ এবং কারিগরি সহায়তা দেয়া হয়।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ