• শুক্রবার   ৩১ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১৬ ১৪২৯

  • || ০৯ রমজান ১৪৪৪

জাগ্রত জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে সরিষার বাম্পার ফলনে প্রাণ ফিরেছে শতাধিক তেলকলে

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৩  

জয়পুরহাটে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে যেমন হাসি ফুটেছে তেমনি বন্ধ থাকা ছোট-বড় শতাধিক সরিষার তেলকল চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে কল মালিকদের।

জানা যায়, প্রায় ১ যুগ ধরে ধান ও আলু চাষে জয়পুরহাটের কৃষকরা ঝুঁকে পড়ায় হারিয়ে যেতে বসেছিল সরিষার চাষ। এতে বন্ধ ছিল জেলার প্রায় শতাধিক তেলকল। সম্প্রতি ভোজ্য তেলের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকসহ ভোক্তাদের নাভিশ্বাস ওঠে। তাই আলু ও ধানের পাশাপাশি পড়ে থাকা জমিতে কৃষকরা সরিষার চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সরিষা বিক্রি করছেন স্থানীয় বাজারে। এতে বন্ধ থাকা তেলকলগুলো প্রাণ ফিরে পায়। কলগুলোতে উৎপাদিত তেলের গুণগতমান ভালো ও দাম কম হওয়ায় তা সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। জেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর ফলে গত মাসে যেখানে স্থানীয় বাজারে সরিষার তেল প্রতি কেজি বিক্রি হতো ২৩০ টাকায়, বর্তমানে তা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জয়পুরহাটের পুরানাপৈল এলাকায় কথা হয় কৃষক আশরাফুল ইসলাম, বাবুল হোসেন, মাহফুজা বেগম, খোকন হোসেনসহ কয়েকজনের সঙ্গে। তারা জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় অনেক ভালো ফলন হয়েছে এবার। প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ করে সরিষা আবাদ হয়েছে। আমরা পরিবারের জন্য কিছু সরিষা রেখে বাকি সরিষা বাজারে প্রকারভেদে ১৮০০-২৪০০ টাকা মণ পর্যন্ত বিক্রি করেছি। এতে আমরা লাভবান হচ্ছি।

জেলার ধানমন্ডি এলাকার তেলকলের মালিক আসাদুজ্জামান রাজু বলেন, ‘গত কয়েক বছর আমাদের এলাকায় সরিষার চাষ না হওয়ায় তেলকলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাইরে থেকে চড়া দামে সরিষা সংগ্রহ করে কিছু তেলকল কোনোভাবে টিকে ছিল। কিন্তু এবার আমাদের এলাকায় অনাবাদি পতিত জমিতে কৃষকরা ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ করায় জীবন ফিরে পেয়েছে তেলকলগুলো। জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনায় অনাবাদি পতিত জমিতে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করায় ১৪ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ সফল হয়েছে।’

জাগ্রত জয়পুরহাট
জাগ্রত জয়পুরহাট