• বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩০

  • || ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

জাগ্রত জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

জাগ্রত জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৩  

জয়পুরহাটে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে ৭৮৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৮৫৫ হেক্টরে চাষ হয়েছে। এতে ভুট্টা ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এবারো বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের মাটি গুণাগুণ অনুযায়ী ভুট্টা চাষে বেশ উপযোগী। এ কারণে জয়পুরহাট সদর উপজেলা, পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর উপজেলায় ভুট্টার চাষ বেশি হয়। পোলট্রি শিল্পের মূল উপাদান ভুট্টা উৎপাদনে খরচের তুলনায় লাভ ভালো থাকায় কৃষকদের ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। 

বিএডিসির পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ভুট্টাবীজ সরবরাহ করা হয়েছে। সদর উপজেলার দাদরা গ্রামের কৃষক আলম, দিপু, মিঠুসহ একাধিক ভুট্টাচাষী জানান, ফলন ভালো ও চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবারের মতো এবারো ভুট্টার চাষ বেশি হয়েছে। ভুট্টা স্বল্প পানির চাহিদা সম্পন্ন ফসল হিসেবে জনপ্রিয়। ভুট্টা আবাদে বীজ বপনের আগাছা দমন, ২৫-৩০ দিন পর প্রথমবার সেচ প্রয়োগ ও ৫০-৫৫ দিন পর দ্বিতীয়বার সেচ দিতে হয়। ৭০-৭৫ দিন পরে তৃতীয়বার হালকা সেচ প্রয়োগ করলে হয় আবার না করলেও চলে। রোগবালাই, পোকামাকড়ের আক্রমণ খুবই কম । ফলে জেলায় দিন দিন ভুট্টার চাষ বাড়ছে। ভুট্টা ফসলের মোচা বা কব সংগ্রহের পর গাছের অবশিষ্ট অংশ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

মুরগি ও গোখাদ্য তৈরির জন্য জয়পুরহাটের ফিডমিলগুলোকে জেলার বাইরে থেকে ভুট্টা আমদানি করতে হয়। আমদানি রোধে ভুট্টার আবাদ বাড়াতে জয়পুরহাট জেলায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কায়ছার ইকবাল।

কৃষকদের মাঝে উন্নতজাত সরবরাহ, উদ্বুদ্ধকরণ ও পরামর্শ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত। জেলায় সুপারসাইন-২৭৬০ জাতের ভুট্টার নতুন জাত প্রবর্তনে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন। এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষের জন্য কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ভুট্টাচাষীদের দুই কেজি বীজ, ১০ কেজি এমওপি সার ও ২০ কেজি ডিএপি সার দেয়া হয়েছে। জেলায় এবার এক হাজার চাষীকে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মোট ১৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকার সার, বীজ ও পরিবহন খরচ দেয়া হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, ‘‌জেলায় এবার ৮৫৫ হেক্টরে ভুট্টার চাষ হয়েছে।’ আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার প্রায় ১০ হাজার টন ভুট্টার উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

জাগ্রত জয়পুরহাট
জাগ্রত জয়পুরহাট