মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ || ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ১১ মার্চ ২০২৩

জয়পুরহাটে মাসকলাই রুটি বেচে ভালোই সংসার চলছে মেহেদীর

জয়পুরহাটে মাসকলাই রুটি বেচে ভালোই সংসার চলছে মেহেদীর

দিনাজপুরের হিলি-জয়পুরহাট রুটের ভীমপুর বাসস্ট্যান্ডে মাসকলাই রুটি বেচে ভালোই সংসার চলছে মেহেদী হাসান রাজের। তার বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জে। মাসকলাই রুটি রাজশাহীতে প্রসিদ্ধ। ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে মাসকলাই রুটির কথা দিনাজপুরের মানুষ কম-বেশি সবাই জানে। আর সেই সূত্রটিকে কাজে লাগিয়েই ভীমপুর বাসস্ট্যান্ডে এই রুটি বিক্রি শুরু করেন মেহেদী। সঙ্গে রেখেছেন বিভিন্ন স্বাদের চাটনি আর ভর্তা। তাতেই বিক্রি জমজমাট তার।

মেহেদী প্রতিদিন বিকেল হলেই ভীমপুর বাসস্ট্যান্ড সড়কের পাশে চেয়ার-টেবিল সাজিয়ে মাটিতে চুলা ফেলেন। আর সেই চুলায় তাওয়া বসিয়ে নিজ হাতে মাসকলাই রুটি তৈরি করেন। তার রুটি তৈরি করার কৌশল রাজশাহী অঞ্চলের মাসকলাই রুটি ব্যবসায়ীদের মতো। রুটি তৈরি করছেন আর মাসকলাই রুটির ঘ্রাণ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। মাসকলাই রুটির সাথে রয়েছে বাদাম ভর্তা, বেগুন ভর্তা, ধনাপাতার ভর্তা, ঝাল পেঁয়াজের চাটনি। আবার পাওয়া যায় ভুঁড়িভাজি। একটি রুটির দাম ২০ টাকা সাথে ভর্তা ও চাটনি ফ্রি। ভুঁড়িভাজি প্লেট ৪০ থেকে ৮০ টাকা। এসব সুস্বাদু ভর্তা, চাটনি আর ভুঁড়িভাজি দিয়ে মাসকলাই রুটি খেতে ভিড় করে তার ফুটপাতের দোকানে।

প্রতিদিন বিকেল ৪ টা থেকে শুরু হয় বেচাবিক্রি, তা চলে রাত ৯ টা পর্যন্ত। দিনে ৭ থেকে ৮ কেজির মাসকলাই আর আটার রুটি বিক্রি করেন এই রুটি বিক্রেতা। কয়েক ঘণ্টায় বিক্রি হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা, এতে লাভ হয় তার পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকা। তার দোকানের চাটনি ভর্তা দিয়ে রুটি খেয়ে মুগ্ধ সবাই।

একজন বাসচালক মশিউর রহমান বলেন, এখানে মাসকলাই রুটির আসল স্বাদ পাই। এই বাসস্ট্যান্ডে আসলে মেহেদী ভাইয়ের হাতের তৈরি রুটি খেয়ে যাই। স্থানীয় একজন মশফিকুর বলেন, আমি মাঝেমধ্যে রাজশাহী যাই। রাজশাহী যেতে কয়েক জায়গায় মাসকলাই রুটি পাওয়া যায়। আমি খেয়ে আসি অনেক টেস্ট। মেহেদী ভাইয়ের হাতের তৈরি মাসকলাই রুটি ঠিক সেই রাজশাহীর মাসকলাই রুটির মতো স্বাদ।

একজন বাসযাত্রী বলেন- যাবো জয়পুরহাট, এখানে মাসকলাই রুটি পাওয়া যায়, শুনে নামলাম। খাচ্ছি খুবি ভাল স্বাদ, আসল মাসকলাই রুটির মতো।

মেহেদী হাসান রাজ বলেন, এখানে আমি অনেক দিন ধরে বসবাস করছি। এই অঞ্চলে রাজশাহীর মাসকলাইয়ের হাতের রুটির অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই আমি গত একমাস ধরে এখানে মাসকলাই রুটি বিভিন্ন ভর্তা আর চাটনি দিয়ে বিক্রি করছি। প্রতিদিনি বাড়ছে চাহিদা, অনেক সময় এক হাতে রুটি তৈরি করতে হিমশিম খেতে হয়। আল্লাহ দিলে আমার এই সামান্য ব্যবসা দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে অনেক ভাল আছি।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়