বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:০৬, ১২ মে ২০২৩

জয়পুরহাটে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত কৃষকরা

জয়পুরহাটে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত কৃষকরা

বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা। জেলার মাঠ ঘাট জুড়ে এখন চলছে বোরো ধান ঘরে তোলার উৎসব। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত উত্তরাঞ্চলের ছোট জেলা জয়পুরহাটে ২০২২-২০২৩ নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ৬৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি।

এরমধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬১ হাজার ৯০০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে সাত হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন চাল। উৎপাদন বিবেচনায় জেলায় আলুর পরে ধানকে প্রধান ফসল হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগাম জাতের সুভলতা ও খাটো জিরাশাইল ধানের পাশাপাশি অন্যান্য হাইব্রিড জাতের ধানও পুরো দমে কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। দীর্ঘ খরার ফলে আবহাওয়া বিভাগের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আতঙ্ক মাথায় নিয়ে স্বপ্নের ফসল বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা।

জেলার মাঠ ঘাট জুড়ে এখন চলছে বোরো ধান ঘরে তোলার উৎসব। প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে লেবার খরচ পড়ছে চার হাজার টাকা। লেবারের পাশাপাশি সরকারের ভর্তুর্কিমূল্যে কেনা  হারভেস্টর মেশিনেও ধান কাটা মাড়াই করছেন কৃষকরা। ফলে বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ে তেমন কোনো লেবার সঙ্কট নেই বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

সদর উপজেলার পুরানাপৈল বাজার ঘুরে ধান ব্যবসায়ী সুশীল চন্দ্র মণ্ডল জানান, বর্তমান বাজারে ওঠা নতুন ধান মোটা হাইব্রিড জাতের ধান ৯০০ থেকে এক হাজার ৫০ টাকা মণ, চিকন জাতের ধান সুভলতা ১১০০, কাটারি সাড়ে ১২০০, জিরাশাইল এক হাজার ২০০ টাকা মণ পর্যন্ত কেনাবেচা হচ্ছে।

সদর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক, সুভাষ চন্দ্র কর্মকার ও মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘জমিতে থাকা বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখে আমরা ঘাম ঝড়ানো কষ্ট ভুলে গেছি। ঝড় বৃষ্টির আগে ঘরে তুলতে পারবো কি না সেই চিন্তা করছি।’

সোনারপাড়া গ্রামের দ্বিজেন চন্দ্র দেবনাথ জানান, এবার পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোছা. রাহেলা পারভিন বলেন, ‘বৈরি আবহাওয়া বিশেষ করে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় স্বপ্নের বোরো ধান ঘরে তোলার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ