বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৯ মে ২০২৩

পাঁচবিবিতে পলিমালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে

পাঁচবিবিতে পলিমালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ফসল উৎপাদনে আগাছার হাত থেকে রক্ষা পেতে পলিমালচিং পদ্ধতির ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক। দিন দিন এ পদ্ধতি কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পদ্ধতিতে সবজি চাষের প্রসার ঘটছে।

পলিথিন ব্যবহারে জমিতে কোনো ধরনের আগাছা জন্মাতে পারে না এবং মাটিতে যথেষ্ট পরিমাণে রস জমা থাকে। এ কারণে ফসল ভালো হয়। কৃষক জানান, পলিমালচিং পদ্ধতিতে খরচ কম হয় এবং ফলনও ভালো হয়।

উপজেলার বাগজানা ইউনিয়ন, আয়মারসুল ইউনিয়ন ও কুসুম্বা ইউনিয়নেও পলিমালচিং পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে। এর মধ্যে আওলাই ইউনিয়নের শিরট্টি এলাকায় সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ হয় এ পদ্ধতিতে। পাঁচবিবি উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আবু ইয়াহিয়া মণ্ডল অন্যদের দেখে এ বছর প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে পলিমালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। তিনি জমিতে তরমুজ, বেগুন, ক্যাপসিকাম, টমেটো, পেঁপে, শিম, মরিচ, করলা, শসা ও লাউসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে ফলনও ভালো পেয়েছেন। এক বিঘা জমিতে এক হাজার মিটার পলি বিছাতে হয়। যার বাজার মূল্য ৮-১০ হাজার টাকা। একবার পলি বিছিয়ে জমি চাষ ছাড়াই শুধু সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করে পরপর তিনবার ফসল উৎপাদন করা যায়।

বালিঘাটা ইউপির কোকতারা গ্রামের কৃষক মনির হোসেন বলেন, ‘জমিতে ভালো ফলনের আশায় আমরা যে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে থাকি তার অধিকাংশই খেয়ে ফেলে আগাছা। জমির এসব আগাছা পরিষ্কারে শ্রমিককে যত টাকা দিতে হয় সে তুলনায় পলির দাম অনেক কম।’

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. লুত্ফর রহমান জানান, উপজেলার প্রায় ৭০০ বিঘা জমিতে পলিমালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষক। এ পদ্ধতিতে মাটির আর্দ্রতা ভালো থাকে। আগাছা জন্মাতে পারে না। পোকা-মাকড় ধরে না।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ