রোববার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ || ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

জয়পুরহাটে নবান্ন উপলক্ষে ৯০ মণ চালের ক্ষীর বিতরণ

জয়পুরহাটে নবান্ন উপলক্ষে ৯০ মণ চালের ক্ষীর বিতরণ
সংগৃহীত

নবান্নের ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছরের মতো এবারও জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বেগুনগ্রামের আস্তানায়ে চিশতিয়ায় ১৩০ মণ গুড়, ৯০ মণ চাল, ১ হাজার ৯০০টি নারকেল, আর ৮০ মণ দুধ দিয়ে ক্ষীর তৈরি ও বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একসঙ্গে ৩০টি চুলায় সকালে ৩০ মণ চালের, দুপুরে ৩০ মণ চালের এবং সন্ধ্যায় ৩০ মণ চালের ক্ষীর রান্না করা হয়। 

জয়পুরহাটসহ পার্শ্ববর্তী বগুড়া, নওগাঁ, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও সুদূর কুমিল্লা জেলা থেকে আগত মাওলানা আব্দুল গফুর চিশতির ভক্ত-অনুসারী লোকদের মাঝে এসব ক্ষীর পরিবেশন করা হয়। ভক্ত-অনুসারীরা সেই উপাদেয় ক্ষীর তৃপ্তি সহকারে খান। বেগুনগ্রাম আস্তানায়ে চিশতিয়ার ভান্ডারখানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খায়ের গোলাম মাওলা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘এ এলাকার চিশতিয়া তরিকার অনুসারীদের শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াত পীর কামেল হজরত মাওলানা আব্দুল গফুর চিশতী ১৯৭২ সালের অঘ্রাণ মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার থেকে বেগুনগ্রামে অবস্থিত ‘আঞ্জুমানে চিশতিয়া’ নামক এই আস্তানাতে সর্বপ্রথম সমন্বিতভাবে এ নবান্ন উৎসবের সূচনা করেন। সেই থেকে প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে এই উৎসব চলে আসছে। এখন এটা এ এলাকাবাসীর কাছে রীতিমতো একটা ঐতিহ্য পরিণত হয়েছে।’ 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘এবার কেবল নারকেল আর গুড় ভাঙার কাজই করেছেন ৪০ জন। রান্নায় ছিলেন ২৬০ জন। আর খাবার পরিবেশন করেন ১৭০ জন লোক। তা ছাড়া আরও অন্তত ২২০ জন স্বেচ্ছাসেবী লোক সার্বিক দেখভালের জন্য নিয়োজিত ছিলেন।’ 

বেগুনগ্রাম আস্তানায়ে চিশতিয়ার প্রধান বাবুর্চি আব্দুল মান্নান জানান, এবারে ৩০টি চুলায় রান্না করা হয় ক্ষীর। ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে শুরু করা হয় প্রথম দফার ক্ষীর রান্নার কাজ। তা সকালে আগত ভক্ত-অনুসারীদের খাওয়ানো হয়। জোহরের নামাজ পড়ে শুরু করা হয় দ্বিতীয় দফায় ক্ষীর রান্নার কাজ। বিকেলে তা ভক্ত অনুসারীদের খাওয়ানো হয়। আর আসরের নামাজ পড়ে শুরু করা হয় শেষ দফায় ক্ষীর রান্নার কাজ। রাতে তা ভক্ত-অনুসারীদের খাওয়ানো হয়। 

অধিকন্তু, এ উৎসব ঘিরে স্থানীয় লোকজন আত্মীয়স্বজন ও মেয়ে-জামাইকে দাওয়াত করে খাওয়ান এবং নতুন কাপড় উপহার দেন। সর্বোপরি এ উৎসবকে ঘিরে আস্তানার আশপাশের রাস্তার দুই পাশে এবং খোলা জায়গায় গ্রাম্য মেলা বসে। মেলায় বিভিন্ন খাবারের দোকান বসে শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলাসহ বিভিন্ন বিনোদন সামগ্রী ও খেলনার পসরা বসে। তা ছাড়া পাওয়া যায় হাঁড়ি-পাতিল, বঁটি, চাকু, দাসহ প্রয়োজনীয় সাংসারিক তৈজসপত্র। 

আস্তানার ভক্তরা যাতে নবান্ন অনুষ্ঠান সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন এবং এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে; সে লক্ষ্যে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াসিম আল বারী এ এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ আনসার, গ্রাম পুলিশ ও পুলিশ মোতায়েন করেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শিরোনাম

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ভারত, জাপান ও ফিলিস্তিনবন্ধ হচ্ছে গুগল পডকাস্টভাইরাল এসএসসি পরীক্ষার রুটিন নিয়ে যা বলল শিক্ষা বোর্ডদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আপিল শুনানি শুরু আজপাঁচবিবিতে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিতকালাইয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিতউন্নতি করতে নয়, জিততে এসেছিঃ শান্তডিম পাড়বে বিরল কচ্ছপ, তাই মিসাইল পরীক্ষা স্থগিতআজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসজয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিতশিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না থাকে সেটি নিশ্চিত করতে চাইঃ দীপু মনিক্ষতিকারক যেসব অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে ডিলিট করল গুগলসায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন আজবিনামূল্যে স্কুল চালিয়ে শিক্ষক পেলেন ১০ কোটি টাকা পুরস্কারআন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আজসূর্যের বিরল ছবি তুলল ভারতের মহাকাশযান আদিত্যবিজয় দিবসে বিমানের টিকিটে ১৬ শতাংশ ছাড়প্রভাসের নায়িকা তৃপ্তি, বাজেট ৫২৬ কোটি টাকা?সোনিয়া গান্ধীকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি