রোববার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ || ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৩:০১, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

জমে উঠেছে কালাইয়ের পাঁচশিরা বাজারের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা

জমে উঠেছে কালাইয়ের পাঁচশিরা বাজারের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা
সংগৃহীত

মূলত জামাই মেলা, তবে সবাই এটাকে বলে মাছের মেলা। নবান্ন উৎসব উপলক্ষে পাঁচশিরা বাজারে প্রতি বছরের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাছের মেলা। শনিবার সকাল থেকে মেলায় চলছে মাছ কেনাবেচার উৎসব। দিনের শুরুতেই জমতে শুরু করেছে মেলাটি।

বলছিলাম জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচশিরা বাজারের মাছের মেলার কথা। প্রতিবছর এই মেলাকে ঘিরে এখানে দিনব্যপী চলে আনন্দ-উৎসব। দিনটির জন্য সারাটি বছর অপেক্ষায় থাকেন উপজেলাবাসী।

পৌর এলাকা এবং আশপাশে যাদের শ্বশুর বাড়ি, সেসমস্ত জামাইরা হচ্ছেন এই মেলার মূল ক্রেতা ও দর্শনার্থী। তাছাড়া এই মেলাকে ঘিরে এলাকার জামাইদের মধ্যে চলে এক ধরনের নীরব প্রতিযোগিতা। কোন জামাই সবচেয়ে বড় মাছটি ক্রয় করে তার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যেতে পারে এই নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।

১৮ নভেম্বর শনিবার মেলায় গিয়ে দেখা যায়, একটি বিশাল সাইজের মাছকে ঘিরে ক্রেতা জামাইদের জটলা লেগে আছে। বিক্রেতা বিশাল সাইজের কাতলাটির দাম হেঁকেছেন ৩০ হাজার টাকা। জামাই ক্রেতাদের মধ্যে একজন মাছটির দাম সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা বলেছেন। কিন্তু বিক্রেতা আরও বেশি দাম পাবার আশায় মাছটি ছাড়ছেন না।

চলছে দর কষাকষি। যত না ক্রেতা তার চেয়ে অনেক বেশি উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছেন মাছটি দেখার জন্য। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন তো এসেছেনই। বাইরের উপজেলা থেকেও অনেক মানুষ কেবল এই মেলা উপলক্ষেই এসেছেন পাঁচশিরা বাজারে। এবারের মেলায় প্রায় ত্রিশের মতো মাছ ব্যবসায়ী বাহারি মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

মেলায় সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি মিঠাপানির চিতল, ইলিশ, আইড়, বোয়াল, কালী বাউশ, পাবদা, গলদা চিংড়ি, গুলশা, আইকর, বড় রুই, কাতলা, বড় সিলভার, ব্রিগেট, মৃগেলসহ নানা রকমের দেশি মাছ স্থান পেয়েছে।

মেলার আয়োজকরা জানান, এই মেলাটি শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হতো খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে। এখন সময়ের বিবর্তনে প্রতিবছর নবান্ন উৎসবে অগ্রহায়ণ মাসের ৩ তারিখে এ মেলার আয়োজন করা হয়। প্রায় ৪০ বছর ধরে মেলাটির আয়োজন এভাবেই হয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ মেলাটি একটি সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে।

এলাকার জামাইরা বলেন, শ্বশুরবাড়িতে মাছ নিয়ে যাওয়া বলে কথা! তাই এলাকার সকল জামাইদের নজর মেলার বড় মাছটার দিকেই থাকে। স্থানীয় বড় মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ জানান, মেলার আগে সপ্তাহখানেক ধরে তারা বড় বড় মাছ সংগ্রহ করে থাকেন। সেই অনুযায়ী মাছের দামও হাঁকানো হয়। কারণ, বড় মাছ সংগ্রহ করা অনেক কষ্ট। সহজে পাওয়াও যায় না।  

মেলা নিয়ে কথা হয় বেগুনগ্রামের জামাই রাজিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, এবার সাড়ে ৩৫ হাজার টাকার কাতলা, চিতল, বোয়াল, আইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনেছেন শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

মাছের মেলার বিষয়ে পৌরসভার মেয়র রাবেয়া সুলতানা জানান, মাছের মেলাটি এ অঞ্চলের ঐতিহ্যের ধারক। মেলায় বেচাকেনা যতই হোক না কেনো, এ মেলা আমাদের ঐতিহ্যকে বহন করছে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শিরোনাম

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ভারত, জাপান ও ফিলিস্তিনবন্ধ হচ্ছে গুগল পডকাস্টভাইরাল এসএসসি পরীক্ষার রুটিন নিয়ে যা বলল শিক্ষা বোর্ডদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আপিল শুনানি শুরু আজপাঁচবিবিতে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিতকালাইয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিতউন্নতি করতে নয়, জিততে এসেছিঃ শান্তডিম পাড়বে বিরল কচ্ছপ, তাই মিসাইল পরীক্ষা স্থগিতআজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসজয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিতশিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না থাকে সেটি নিশ্চিত করতে চাইঃ দীপু মনিক্ষতিকারক যেসব অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে ডিলিট করল গুগলসায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন আজবিনামূল্যে স্কুল চালিয়ে শিক্ষক পেলেন ১০ কোটি টাকা পুরস্কারআন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আজসূর্যের বিরল ছবি তুলল ভারতের মহাকাশযান আদিত্যবিজয় দিবসে বিমানের টিকিটে ১৬ শতাংশ ছাড়প্রভাসের নায়িকা তৃপ্তি, বাজেট ৫২৬ কোটি টাকা?সোনিয়া গান্ধীকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি