বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ৩ জুলাই ২০২২

সেদিনই প্রমাণ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলেন জিয়া

সেদিনই প্রমাণ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলেন জিয়া

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখছে, ঠিক তখনই নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। বিপথগামী ও প্রতিক্রিয়াশীল একটি চক্র পরিণত হয় ঘাতকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের আগে সপরিবারে শহিদ হন বঙ্গবন্ধু।

আর এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় জাতীয় বেঈমান খ্যাত খন্দকার মুশতাক। শুধু তাই নয়, জাতির পিতার এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে রচিত হয় কলঙ্কিত এক অধ্যায়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি থেকে মুক্তি দিতে ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর “ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ” জারি করেন খন্দকার মোশতাক।

তখনও কেউ জানতো না এর পেছনের কুশীলব কে ছিলেন? তবে ধীরে ধীরে তা সামনে আসতে শুরু করে। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই সবার সামনে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায় জিয়ার কুকীর্তি। তার অবৈধ শাসনামলে সংসদে অনুমোদন পাওয়া এই কালো অধ্যাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখন আর কারো বুঝতে বাকি থাকে না, বঙ্গবন্ধু হত্যায় নেপথ্য নায়ক ছিল এই খুনি জিয়া।

ওই কালো অধ্যাদেশে বলা হয়- ৭৫’র ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কিংবা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত কারো বিরুদ্ধে কোন আদালতে মামলা করা যাবে না। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট কিংবা কোর্ট মার্শালেও তাদের বিচার করা যাবে না। খুনিদের বাঁচিয়ে দিয়ে শুরু করেন স্বৈরতন্ত্র।

এসব ঘটনায় প্রমাণ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ওই কালো রাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে খুনের পেছনের কলকাঠি নাড়ায় এই খুনী জিয়া। তার রক্তাক্ত হাত আরও রক্তে ভরে ওঠে অবৈধ শাসনামলে।

যদিও পরে সঠিক দিশা পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর ১২ নভেম্বর সপ্তম জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেন শেখ হাসিনা। এটি শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের বিচারের পথ প্রশস্ত করেছিল। জিয়ার শাসনামলে সামরিক সরকারের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিতে ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বাঁচাতে জাতীয় সংসদে নতুন একটি আইন পাশ হয়। যা সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত। এরপর ৯৬ পরবর্তী ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংবিধানের ৫ম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ হাইকোর্ট।

কয়েকজন খুনীকে ফাঁসি দেওয়া হলেও অনেকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে পালিয়ে আছে বিভিন্ন দেশে। এভাবেই কলঙ্কমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ