শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৩১ জুলাই ২০২১

৭ কাজ, যা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে করা সুন্নত

৭ কাজ, যা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে করা সুন্নত

আল্লাহর নেয়ামতরাজির মধ্যে ঘুম অন্যতম একটি। এর মাধ্যমে তিনি বান্দার প্রতি অনেক বড় অনুগ্রহ করেছেন। কোরআনুল কারিমের এ নেয়ামতের কথা তুলে ধরে আল্লাহ বলেন-

- ‘তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্যে রাত ও দিন করেছেন, যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম গ্রহণ কর ও তার অনুগ্রহ অন্বেষণ কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ৭৩)

- ‘তোমাদের ঘুমকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী।’ (সুরা নাবা : আয়াত ৯)

সুন্নাহ শব্দটি মুসলিম সমাজে একটি সুপরিচিত শব্দ। সুন্নাহর আভিধানিক অর্থ সম্পর্কে মিসবাহুল মুনীর গ্রন্থকার বলেন, সুন্নাহ শব্দটির আরবি আভিধানিক অর্থ- পথ ও পদ্ধতি, আদর্শ ও রীতিনীতি। রাসূলুল্লাহ (স.) এর আদর্শ যা তিনি পালন করতেন তাই সুন্নাহ। প্রতিটি কাজই যেন সুন্নাহ অনুসারে হয় মুমিন সে বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেয়। রাতে ঘুমানোর আগে বেশ কিছু সুন্নাহ রয়েছে, তার মাঝে কিছু তুলে ধরা হলো-

১. ঘুমানোর দোয়া পড়া : ডান কাতে শুয়ে ঘুমানো সুন্নত। ডান কাতে শুয়ে ঘুমানোর আগে এই দুয়া পড়তে হবে- وَأَحْيَا أَمُوتُ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ

উচ্চারণঃ বিস্মিকাল্লা-হুম্মা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া। অর্থ- হে আল্লাহ! আপনার নাম নিয়েই আমি ঘুমাচ্ছি, এবং আপনার নাম নিয়েই জাগ্রত হবো। (সহীহ বুখারী)

ঘুম থেকে উঠে যেই দোয়া পড়তে হয়- الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ

উচ্চারণঃ আলহা’মদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বাঅ’দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্-নুশুর।

অর্থ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি ঘুম থেকে আমাদেরকে পুনরায় জাগ্রত করেছেন, আর আমরা সবাই তারই কাছে ফিরে যাবো। (সহীহ বুখারী)

২. তাসবীহ’, তাহ’মীদ ও তাকবীর পাঠ করা: ৩৩ বার তাসবীহ (সুবহা’নাল্লাহ), ৩৩ বার তাহ’মীদ (আলহা’মদুলিল্লাহ) ও ৩৪ বার তাকবীর (আল্লাহু আকবার) ।

৩। সুরা ইখলাস ৩ বার পাঠ করা। সুরা ইখলাস ৩ পাঠ করলে এক কোরআন খতম করার সমান ছাওয়াব পাওয়া যায় এবং ১০ বার পাঠ করলে তার জন্য জান্নাতে একটা বাড়ি বানানো হয়। (সহীহুল বুখারী, নাসায়ী, আবু দাউদ)।

৪। ঘুমানোর আগে সুরা কাফিরুন ১বার পড়া। শিরক থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- “এই সুরাটিতে শিরক থেকে বাঁচার শিক্ষা রয়েছে।” (আবু দাউদ)।

৫। সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়া ১ বার।

৬। আয়াতুল কুরসি পাঠ করা ১ বার। সকাল পর্যন্ত তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন হেফাজতকারী ফিরিশতা তাকে নিরাপত্তা দেবে। এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান তার ধারে-কাছেও আসতে পারবে না। (সহীহ বুখারী)।

৭। সুরা মুলক পড়া: প্রতিদিন সুরা মুলক মুলক তেলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। “রাসূলুল্লাহ (সা.) আলিফ লাম মীম তানজিলুল কিতাব (সুরা আস-সাজদা) ও তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক) তেলাওয়াত না করে কোনদিন ঘুমাতেন না”। (সুনানে আত-তিরমিযী, মুসনাদে আহমাদ)।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়