মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ || ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:০৯, ২১ জানুয়ারি ২০২২

কসম ভাঙার কাফফারা যেভাবে দিতে হয়

কসম ভাঙার কাফফারা যেভাবে দিতে হয়

আল্লাহ্ পাক ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করা বা কসম করা শিরক ও কুফর। তাই কখনো শপথ করলে একমাত্র আল্লাহর নামেই করতে হবে। নিজের মাথা, বুকে বা শরীর ছুঁয়ে,সন্তানদের কসম করে, বিদ্যা, মাটির নামে বা এইগুলো ছুঁয়ে কসম করা-এই সবগুলো কাজ সম্পূর্ণ হারাম।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যার কসম করতে হয়, সে যেন আল্লাহর নামে কসম করে, অথবা চুপ থাকে। ইসলামে কসমের বিধান হলো, শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কসম করার পর তা ভাঙা উচিত নয়। হ্যাঁ, যদি নিষিদ্ধ ও হারাম কোনো বিষয়ে কসম করে, তাহলে ভাঙা জরুরি। তবে সর্বাবস্থায়ই কসম করার পর তা ভেঙে ফেললে কাফফারা দেওয়া আবশ্যক।

কসম ভাঙার কাফফারা হলো, ১০ জন মিসকিনকে দুই বেলা পেট ভরে খাবার খাওয়ানো বা প্রত্যেককে এক জোড়া করে কাপড় দেওয়া কিংবা একজন গোলাম আজাদ করা। আর যদি উপরোক্ত কোনোটিতে সামর্থ্য না হয়, তাহলে ধারাবাহিক তিনটি রোজা রাখা। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২৪, সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮৯, মুসলিম, হাদিস : ১৬৫০)

কসম তিন প্রকার

১. গামুস : অতীত বা বর্তমানকালের কোনো বিষয় সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কসম খাওয়া। এ ধরনের কসম করা কবিরা গুনাহ। এজাতীয় কসমের কোনো কাফফারা নেই। এর পাপ থেকে নিষ্কৃতির একমাত্র উপায় আল্লাহর কাছে তাওবা ও ইস্তিগফার করা।

২. মুনআকিদাহ : ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার ব্যাপারে কসম খওয়া। যদি কসম ভঙ্গ করে তাহলে কাফফারা দিতে হবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলা অর্থহীন কসমের জন্য তোমাদের দায়ী করবেন না। কিন্তু যেসব কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে করো, সেসবের জন্য তিনি তোমাদেরকে দায়ী করবেন ...। ’    (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮৯)

৩. লাগব : লাগব বলা হয়, কসমকারী অতীত বা বর্তমানকালের কোনো একটি বিষয়ে নিজের ধারণা অনুযায়ী সত্য মনে করে কসম করে অথচ বিষয়টি বাস্তবে তার ধারণামাফিক নয়, বরং তার বিপরীত। এই ধরনের কসমের ক্ষেত্রে আশা করা যায় যে আল্লাহ তাআলা পাকড়াও করবেন না। (বাদায়েউস সানায়ে : ৩/১৭)

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম