বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

পাত্রী দেখার ইসলামি পদ্ধতি কেমন

পাত্রী দেখার ইসলামি পদ্ধতি কেমন

বিয়ে ইসলামি শরিয়তের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো—তিনি তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জীবনসঙ্গিনী, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পারো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রুম:২১)

পবিত্র বন্ধনের প্রথম সূত্র হলো পাত্র-পাত্রী পরস্পরকে দেখা। হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়, তাহলে সে যেন যথাসম্ভব ওই মহিলাকে দেখে নেয়’ (সুনানে আবু দাউদ: ২০৮২)। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর পাশে বসা ছিলাম। একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই। রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, তুমি কি পাত্রী দেখেছ? তিনি বললেন, না। রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো। কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে। (সহিহ মুসলিম: ১৪২৪)

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের আগে পাত্রীকে গাইরে মাহরামদের মধ্যে শুধু পাত্রই শর্তসাপেক্ষে দেখতে পারবে। সেই শর্তগুলো হলো—

এক) পাত্রী দেখার সময় পাত্রের পক্ষের কোনো পুরুষ, যেমন—বাপ-ভাই, বন্ধুবান্ধব প্রমুখ কেউ থাকতে পারবে না। তাদের পাত্রী দেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও কবিরা গুনাহ। দুই) পাত্র-পাত্রী একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। কিন্তু একে অন্যকে স্পর্শ করতে পারবে না। তিন) পাত্রীর শুধু কবজি পর্যন্ত হাত, টাখনু পর্যন্ত পা ও মুখমণ্ডল দেখা পাত্রের জন্য বৈধ। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ আবরণ ছাড়া দেখতে পারবে না। চার) নির্জনে পাত্র-পাত্রীর একত্র হওয়া বৈধ নয়।

সুতরাং যেখানে পাত্রের জন্যই এত শর্ত রয়েছে, সেখানে অন্য কারো পাত্রী দেখার তো প্রশ্নই আসে না। এমনকি পাত্রের প্রকৃত পিতার জন্যও বিয়ের আগে তার হবু পুত্রবধূকে দেখা বৈধ নয়। (সুরা নিসা: ২৩, তাফসিরে মাজহারি: ২/২৫৪)

উল্লেখ্য, পাত্রের বাড়ির মহিলারা পাত্রীকে দেখতে পারবে। (আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ: ২২/১৭)। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক বিষয়ে শরিয়তের বিধি-বিধান যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ