বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:১১, ৭ মার্চ ২০২৩

দাউদ আ. যেভাবে রোজা রাখতেন

দাউদ আ. যেভাবে রোজা রাখতেন

পূর্ববর্তী বিভিন্ন ধর্মে রোজার বিধান ছিলো। ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের জন্য রোজা পালনের বিধান ছিল। ইহুদিদের ওপর প্রতি শনিবার বছরের মধ্যে মহররমের ১০ তারিখে আশুরার দিন এবং অন্যান্য সময় রোজা ফরজ ছিল। খ্রিষ্টানদের ওপর মুসলমানদের মতো রোজা ফরজ ছিল। বাইবেলে রোজাব্রত পালনের মাধ্যমেই আত্মশুদ্ধি ও কঠোর সংযম সাধনার সন্ধান পাওয়া যায়। বিভিন্ন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার মধ্যেই রোজা পালনের ইতিহাস পাওয়া যায়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মুমিনরা, তোমাদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩) মুসা ও ঈসা (আ) এবং তাঁদের উম্মত সকলেই সাওম পালন করেছেন। নবীগণের মধ্যে দাউদ (আ)-এর রোজা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। 

আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি সবসময় রোজা রাখ এবং রাতভর নামাজ আদায় কর। আমি বললাম জী, হ্যাঁ। তিনি বললেন : তুমি এরূপ করলে তোমার চোখ বসে যাবে এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। যে ব্যক্তি সারা বছর রোজা রাখল সে যেন রোজাই রাখল না। (প্রতি মাসে) তিনদিন রোজা রাখা সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশি রাখার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন: তাহলে তুমি ‘সাওমে দাউদ’ পালন কর। তিনি একদিন রোজা রাখতেন আর একদিন ছেড়ে দিতেন। (ফলে তিনি দুর্বল হতেন না) এবং যখন তিনি শত্রুর সম্মুখীন হতেন তখন পলায়ন করতেন না। ( বুখারি, ১৯৭৮)

রোজার ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানা যায়, আদম (আ.) থেকে নূহ (আ.) পর্যন্ত চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা ফরজ ছিল, যাকে ‘আইয়্যামে বিজ’ বলা হতো। ইসলামের প্রাথমিক যুগে তিন দিন রোজা রাখার বিধান ছিল। পরে দ্বিতীয় হিজরি সালে উম্মতে মুহাম্মদীর ওপর মাহে রমজানের রোজা ফরজ হলে তা রহিত হয়ে যায়।

ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় আগমন করে দেখলেন, ইহুদিরা আশুরার দিন সাওম পালন করে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কী ব্যাপার? তোমরা এই দিনে সাওম পালন কর কেন? তারা বলল, এ অতি উত্তম দিন। এ দিনে আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলকে শত্রুর কবল থেকে নাজাত দান করেছেন। তাই মূসা (আ.) এ দিনে সাওম পালন করেছেন। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি তোমাদের অপেক্ষা মূসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী। এরপর তিনি এ দিন সাওম পালন করেন এবং সবাইকে সাওম পালনের নির্দেশ দেন।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ