শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের স্বাধীনতা পদক চান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের স্বাধীনতা পদক চান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অবদান অনেক। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে ফুটবল ফেডারেশন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় সংবর্ধনা দিলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কখনো দেয়নি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। 

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু আজকের দিনের সংবর্ধনাকে অন্যগুলোর চেয়ে উপরে রাখলেন, ‘মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরকারের সংস্থা। সরকারের কোনো সংস্থা থেকে এভাবে কখনো আমরা স্বীকৃতি ও সম্মাননা পাইনি।’ জাকারিয়া পিন্টু নিজেও এক সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা ছিলেন। সেই সময় স্বাধীন বাংলা দলের সংবর্ধনার এমন আয়োজন কেন হয়নি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওই সময় আমি একবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে কোনো এক কারণে বিলম্ব হয় পরে আর অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়নি।

’স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল। তিনি এনএসসি’র এই স্বীকৃতি প্রথম সরকারি স্বীকৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করলেন, ‘অনেক স্বীকৃতি-সংবর্ধনা পেলেও আজকের এই সংবর্ধনা সরকারের প্রথম স্বীকৃতি বলা যায়।’বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলই মূলত এই সংবর্ধনা আয়োজনের তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়েছেন। বিগত সময়ে অনেক মন্ত্রী আসলেও এমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। হঠাৎ তার এই উদ্যোগের কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘আমার বাবা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার একজন মুক্তিযোদ্ধা।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি সব সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে ক্রীড়াঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানোর জন্যই মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে এই প্রয়াস।’স্বাধীনতার ৫০ বছর মন্ত্রণালয় থেকে এই সংবর্ধনা আসলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে এখনো পুরো স্বাধীন বাংলা দল কোনো সম্মাননা পায়নি। দেশের সবচেয়ে বেসামরিক বড় পুরস্কার স্বাধীনতা পদক। এই পদকের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘স্বাধীনতা পদকের জন্য আবেদন করতে হয়।

জানি না সামনের বছরের আবেদনের সময় আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে এবারই আবেদনের ব্যবস্থা করব। না হলে আগামী বছরের জন্য চেষ্টা করব।’স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের ক্রেস্ট, ব্লেজার দেওয়া হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতার হোসেন ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ। 

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়