আরেকটি ইতিহাসের পথে দেশের নারী ফুটবল

জমকালো আয়োজনে লিগের লোগোও উম্মোচণ করা হয়েছে। এ লিগে বিদেশি খেলোয়াড়রাও থাকবেন। শুরুটা সিলেটে হলেও লিগের শেষ চার ম্যাচ ঢাকায় আয়োজনের পরিকল্পনা আছে বাফুফে ও পৃষ্ঠপোষক কে-স্পোর্টসের। নারীদের কোচিংয়ে আগ্রহী করে তুলতে সবগুলো দলের সহকারী কোচ হিসেবে স্থানীয় নারীদের করার কথা জানানো হয়েছে।

এ লিগকে দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলে নারীদের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ও জমকালো আসরে পরিণত হবে আশা করে লিগের নানা দিক তুলে ধরেন কে-স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ করিম।

লোগো উম্মোচণ অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘মেয়েরা বর্তমানের যে অর্থ পাচ্ছে তা আমার দৃষ্টিতে যথেষ্ট নয়। এই লিগ থেকে তারা কিছু অর্থ পাবে। যা তাদের সহায়তা করবে। দ্বিতীয়ত এ লিগের কল্যাণে মেয়েরা বেশি বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। দুটি বিষয় মাথায় রেখেই আমরা এ লিগ আয়োজনে সম্মতি দিয়েছি।’

বাফুফে নারী বিভাগের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরন এ লিগ আয়োজনের উদ্যোগ নেয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। নারীদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীকিতরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নারী জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘মেয়েদের যে স্বপ্ন ছিল তার পুরণ হতে যাচ্ছে। নারী ফুটবলে আস্থার যে জায়গা তৈরী হয়েছে, তার প্রতিদান হিসেবে আমরা দেশকে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন করতে পেরেছি। ফুটবলের সুদিন হারিয়ে গিয়েছিল, সেটা ফিরে এসে মেয়েদের হাত ধরে।’