৫ শহরের ১৫ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব
২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে বদলে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপের চেহারা। শেষ কয়েকটি আসর বসেছিল ৩২ দল নিয়ে। যাতে বিশ্বকাপে খেলা হতো ৬৪ ম্যাচ। আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে দল বাড়ছে আরও ১৬টি, যার ফলে বাড়ছে ম্যাচসংখ্যাও। দশ বছরের পরের তথা ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপেও অংশ নেবে ৪৮টি দল।
একমাত্র দেশ হিসেবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টের আয়োজক কারা হবে সেটিও জানা গিয়েছিল আগেই। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এককভাবে বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। এবার নিজেদের দেশে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের ভেন্যু কোথায় কোথায় হবে সেটিও জানাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৪৮ দলের অংশগ্রহণে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ৫টি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে, এর মধ্যে ৮টি রাজধানী রিয়াদে। আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনে (ফিফা) আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের বিড করার পর এ ঘোষণা আসল।
ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছিল সৌদি আরব। বিশেষত ফুটবলে বিশাল বাণিজ্যের বাজার ধরতে তারা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড খুলেছিল। তার অধীনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমার জুনিয়রসহ ইউরোপ মাতানো অসংখ্য ফুটবলারকে নিজেদের ক্লাবে ভিড়িয়েছে সৌদি। অবশেষে তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে যাচ্ছে।
এর আগে প্রথমে ২০৩০ বিশ্বকাপের বিড করার কথা ছিল সৌদির। এমন শোনা গেলেও তারা ২০৩৪ পুরুষ আসরের বিশ্বকাপের জন্য বিড ধরে। ওই বিডে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব।
বিডের দলিল অনুযায়ী, সৌদি আরবের প্রস্তাবিত শহরগুলোর মধ্যে রিয়াদ ছাড়াও আছে জেদ্দা, আল খোবার, আবহা ও ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের নতুন শহর নিওম। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, রিয়াদেই থাকবে ৮টি স্টেডিয়াম। এর মধ্যে একটি নতুনভাবে নির্মাণের অপেক্ষায় থাকা ‘কিং সালমান স্টেডিয়াম’। এ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা থাকবে ৯২ হাজার। এখানেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ।
এর আগে একমাত্র আয়োজক দেশ হিসেবে প্রথমবারের মত মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল কাতার। দ্বিতীয় আরব দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট