শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৮ মে ২০২১

এক মুঠো বাদামে অনেক উপকার

এক মুঠো বাদামে অনেক উপকার

সব ধরনের বাদামই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। উচ্চমাত্রায় আমিষ ও আঁশ রয়েছে বাদামে। স্নেহজাতীয় পদার্থও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। কিছু খনিজ পদার্থও থাকে বাদামে, বিশেষত ভিটামিন ই আর ম্যাগনেশিয়াম। ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের জন্য ভালো। আর রোগ প্রতিরোধে ম্যাগনেশিয়ামের ভূমিকা আছে।

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম বাদাম রাখতে পারেন। অনেকেই জানেন না নিয়মিত বাদম কতটা উপকার হয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কেউ যদি এক বাটি করে বাদাম খাওয়া শুরু করেন, তাহলে একাধিক রোগকে দূরে রাখা সম্ভব।

বাদাম খাওয়ার উপকারিতা-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ সংক্রমণকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে বাদাম। এখানেই শেষ নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরও নানা উপকারে লেগে থাকে। যেমন, অ্যাক্সিডেটিভ ট্রেস কমিয়ে কোষেদের ক্ষত রোধ করে।

ত্বকের উজ্জ্বল বাড়ায়
বাদাম স্বাস্থ্য-ত্বকের বন্ধু। বাদামে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে ও ত্বকে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে।

হার্ট ভালো রাখে
হার্টের জন্য বাদাম খুবই উপকারী। বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল থাকে। যা হার্ট অ্যাটাক এবং হৃদযন্ত্রজনিত অন্যান্য সমস্যা কমিয়ে দেয়। বাদামে ট্রিপটোফ্যানও থাকে যা ডিপ্রেশন কমাতেও সাহায্য করে।

কোষেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
বাদামে উপস্থিত প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই শরীরের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে থাকা কোষেদের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের শরীরে যাতে কোনও ভাবে ক্ষতের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে বয়স বাড়লেও শরীরের উপর তার কোনও প্রভাব পরে না।

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
নিয়মিত পানিতে ভেজানো কাজুবাদাম খেলে দেহের অন্দরে বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও কমে যায়। এবার বুঝেছেন তো খাদ্যরসিক বাঙালি, আমাদের কেন প্রতিদিন একমুঠো করে বাদাম খাওয়া উচিত!

ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ
বাদাম ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণেও অনেকটা সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ খনিজ দ্রব্য। এই খনিজ উপাদানটি ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, মেটাবলিজম, কোষে ক্যালসিয়াম শোষণ এবং ব্লাডসুগার কমাতে সাহায্য করে। স্টাডিতে দেখা গেছে ২১ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে বাদাম।

গর্ভবতী নারীদের জন্য
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী নারীরা নিয়মিত বাদাম খেলে তাদের সন্তানের অ্যাজমা হওয়ার আশংকা কমে যায়।

হতাশা কমাতে
আপনি যদি হতাশায় ভোগেন, তাহলে বাদাম খান। এতে আছে ট্রিপটোফান, যা সেরোটনিন মুক্ত করে হতাশা দমনে সাহায্য করে।

এছাড়া পাকস্থলির ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার ও স্ট্রোক রোধে বাদাম খুব উপকারি। তাই প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খান, সুস্থ থাকুন।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়