শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৩ মে ২০২১

এবারের ইতেকাফ শুরু ৩ মে

এবারের ইতেকাফ শুরু ৩ মে

মহামারি করোনায় যখন পুরো বিশ্ব স্থবির ঠিক তখনই শুরু হতে যাচ্ছে মুসলিম উম্মাহর রমজানে বিশেষ ইবাদত ইতেকাফ। এ বছরও করোনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মসজিদগুলোতে পাঞ্জেগানা, জুমআ, তারাবিহ ও ইতেকাফ পালনে রয়েছে শর্ত ও বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে আগামীকাল সোমবার (৩ মে ২০২১) সন্ধ্যায় ইতেকাফকারীরা ইফতারের আগেই মসজিদে উপস্থিত হবেন।

রমজানে ইতেকাফ পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো- রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়ার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় নিজেদের ইবাদত-বন্দেগিতে আত্মনিয়োগ করা। আল্লাহর চূড়ান্ত সন্তুস্টি অর্জনের মর্যাদার রাত ‘লাইলাতুল কদর’ পাওয়ার চেষ্টায় নিজেদের নিয়োজিত রাখা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের প্রতিটি বছরই রমজানে ইতেকাফ পালন করতেন।

ইতেকাফ আল্লাহ তাআলার সন্তুস্টি অর্জনে নিরবচ্ছিন্ন ইবাদাত বন্দেগির সুবর্ণ সুযোগ। ইতেকাফ পালনের মাধ্যমেই লাইলাতুল ক্বদর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ইতেকাফের মাধ্যমে নিজের নফসকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে আবদ্ধ করা ও তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার একমাত্র উপায়। তাই দুনিয়ার সব কিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে আল্লাহর জিকির-আজকারের মাধ্যমে ইতেকাফে আত্মনিয়োগ করা জরুরি।

ইতেকাফের সময়

রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করতে হয়। তাই ইতেকাফের রয়েছে কিছু প্রস্তুতি। ইতেকাফে বসলে রোজাদার কোনো ধরনের কথা-বার্তা, লেন-দেন, ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরি-বাকরি কোনো কিছুতেই অংশগ্রহণ করতে পারে না। ইতেকাফের বিধি-নিষেধ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَلاَ تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ

'তোমরা মসজিদে ইতিকাফ অবস্থায় তাদের সাথে (তোমাদের স্ত্রীদের) সাথে সঙ্গম করো না।' (সুরা বাকারা : আয়াত ১২৭)

ইতেকাফে বসার আগে আবশ্যক করণীয়

> পরিবারের ঈদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা।

> ফিতরা আদায়ের ব্যবস্থা করা।

> পরিবারের ব্যয়ভার বহনের ব্যবস্থা করা।

> মসজিদে ইফতার ও সাহরি পৌছানোর ব্যবস্থা করা।

> দুনিয়াবি জরুরি সম্ভাব্য কাজের সমাধানের ব্যবস্থা করা।

> পারিবারিক যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিষয়াদির ব্যবস্থা করে যাওয়া।

সুতরাং ইতেকাফে বসার জন্য মসজিদে প্রবেশের আগেই প্রয়োজনীয় পারিবারিক সব সমস্যার সমাধানে সার্বিক ইন্তেজাম সম্পন্ন করা মুমিন মুসলমান রোজাদারের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

উল্লেখ্য, এবার যারা ইতেকাফে বসবেন, তাদের নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি যথাযথ গুরুত্বারোপ করাও জরুরি। বিশেষ করে বয়স্ক ও প্রবীণদের ইতেকাফে অংশগ্রহণ না করাই হবে উত্তম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে ইতেকাফে পালনের তাওফিক দান করুন। ইতেকাফের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হাসিলের তাওফিক দান করুন। মহামারি করোনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়