বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১০ এপ্রিল ২০২১

ডিম খেলে ১৪ দিনেই ১০ কিলো ওজন কমানো সম্ভব!

ডিম খেলে ১৪ দিনেই ১০ কিলো ওজন কমানো সম্ভব!

ডিম দিয়েই ১৪ দিনে শরীর থেকে কমিয়ে ফেলা যেতে পারে ১০ কিলো ওজন। মাত্র পাঁচ কিলো ওজন কমাতে শরীরের ঘাম ছুটে যায় সবার। প্রচুর দৌড়-ঝাঁপ করেও পাঁচ কিলো ওজন কমানো খুবই কঠিন কাজ।

ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসের সামান্য রদবল এবং আহারে রোজ ডিম খেলে মাত্র ১৪ দিনেই অন্তত ১০ কিলো ওজন কমানো ফেলা সম্ভব। এই ‘ফিটনেস রেজিম’-এ থাকার সময় কোনওভাবেই ‘জাঙ্ক ফুড, মিষ্টি জাতীয় জিনিস বা মিষ্টি পানীয়, অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। এমনকী, রোজ চিনি ও নুন খাওয়ার পরিমাণও কমাতে হবে।

জেনে নিন ডিম খেয়ে ১৪ দিনে ১০ কিলো ওজন কমানোর কৌশল।

শরীরে অতিরিক্ত চর্বি হওয়া মানেই হচ্ছে শরীরে রোগের ছড়াছড়ি। আর এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বি, হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ার ঝুঁকি বাড়ে। 

বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, এজন্য মানুষের বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী যতটুকু ওজন দরকার, তার চেয়ে তিন কেজি বেশি হলেই ডায়াবেটিস হওয়ার আশংকা ২৫-৩০ ভাগ বেড়ে যায়। রক্তচাপ বাড়ার ফলে হৃদরোগ হওয়ার আশংকা শতকরা ৪০ ভাগ বেড়ে যায়।

সঠিক ওজনের থেকে মাত্র এক কেজি ওজন বাড়ালে অস্তিসন্ধিগুলোতে আর্থাইটিস হওয়ার ঝুঁকি শতকরা ১০ ভাগ বাড়ে। পেট মোটা আর অতিরিক্ত ওজন মানেই অসুস্থতার লক্ষণ।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতিরিক্ত স্বাস্থ্য যাদের তারা যদি ছয় থেকে আট শতাংশ ওজন কমাতে পারে তাহলে- উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কমে যাবে। রক্তে কলস্টেরল কমে যাবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে। ওষুধ কম মাত্রায় গ্রহণ করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। আর্থ্রাইটিস ব্যথা হ্রাস পায়।

তবে ওজন ধীরে ধীরে কমানো দরকার। দৈহিক শ্রম খুব জরুরি। খাবার গ্রহণে সতর্ক হতে হবে। লিফটে না উঠে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন। প্রতি সপ্তাহে নয়, প্রতি মাসের পরিকল্পনা নিয়ে ওজন কমান। প্রতি মাসে কমপক্ষে দুই কেজি ওজন কমান। ছয় মাসে কমপক্ষে সাত থেকে দশ শতাংশ ওজন কমানোর লক্ষ্য স্থির করুন। কম সময়ে বেশি ওজন কমানো ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

জাগ্রত জয়পুরহাট

সর্বশেষ

জনপ্রিয়